নীতার হাতের তালুর মেহেন্দির ডিজাইনে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ এবং দেবী রাধার ছবি। সেই সঙ্গে ছিল নবদম্পতি অনন্ত এবং রাধিকার নাম। এখানেই শেষ নয়, নীতার হাতের তালুর পিছনের অংশে শোভা পাচ্ছিল আম্বানি পরিবারের বাকি সদস্যদের নামও। এর মাধ্যমে শুধু ভারতের ঐতিহ্যগত সংস্কৃতিকেই সম্মান জানানো হয়নি, তার সঙ্গে তুলে ধরা হয়েছে পারিবারিক ঐক্য এবং ভালবাসার বন্ধনের চিত্রটাও।
advertisement
বহু যুগ ধরে ভারতীয় বিবাহের অঙ্গ হয়ে উঠেছে মেহেন্দি। আর মেহেন্দিতে নিজের ভালবাসার মানুষটির নাম লেখাও একটা ঐতিহ্যের অঙ্গ হয়ে উঠেছে। বিয়ের অঙ্গ মেহেন্দি হয়ে উঠেছে আনন্দ, সৌন্দর্য এবং নয়া সফরের সূচনার প্রতীক। সূক্ষ্ম নকশায় ধরা পড়ে সংস্কৃতি এবং আবেগও।
সাধারণত বিয়ের সময় কনের হাতে এবং পায়ে সুন্দর মেহেন্দির নকশা করা হয়। আর সূক্ষ্ম ডিজাইনের ভিতর সুচারু ভাবে লুকোনো থাকে হবু বরের নামও। অর্থপূর্ণ এই রীতি বিবাহ অনুষ্ঠানে আনন্দের চমকও যোগ করে।
আরও পড়ুন: শুরু একসঙ্গে পথ চলা! বিশেষ প্রতিশ্রুতি অনন্ত-রাধিকার, নবদম্পতির আবেগঘন মুহূর্ত
আরও পড়ুন: ‘ইটস অফিশিয়াল’…আলো-রোশনাই-রূপকথার বিয়ে…সাতপাকে বাঁধা পড়লেন অনন্ত-রাধিকা
তবে নীতা আম্বানির হাত ধরে এই রীতি-আচার এক আলাদা উচ্চতায় পৌঁছেছে। তিনি আসলে এমন একটা নকশা বেছেছেন, যা পরিবারের তাৎপর্যকেও তুলে ধরেছে। তিনি রাধা-কৃষ্ণের ছবি বেছেছেন, কারণ তা ঐশ্বরিক প্রেম এবং চিরন্তন ঐক্যের প্রতীক। এর মাধ্যমে রীতি-নিয়মের পাশাপাশি পারিবারিক বন্ধনকেও সম্মান জানানো হয়েছে। মুম্বইয়ের জিও ওয়ার্ল্ড কনভেনশন সেন্টারে সম্পন্ন হয়েছে অনন্ত-রাধিকার বিবাহ।