তবে সেই হেভিওয়েট বিয়ের আগেই গুজরাতের জামনগরে বসছে রাধিকা-অনন্তের প্রি-ওয়েডিং উৎসবের আসর। যা চলবে আগামী ১ মার্চ থেকে ৩ মার্চ পর্যন্ত। আর সেই কারণেই সেজে উঠেছে জামনগর। কারণ সেখানে উপস্থিত হবেন দেশ-বিদেশের নামি-দামি ব্যবসায়ী। শুধু তা-ই নয়, প্রযুক্তি ক্ষেত্রের কিংবদন্তিরাও যোগ দেবেন অনুষ্ঠানে। ফলে বোঝাই যাচ্ছে যে, এই অনুষ্ঠানকে ঘিরে রীতিমতো বসতে চলেছে চাঁদের হাট!
advertisement
আরও পড়ুন: জোরকদমে অনন্ত-রাধিকার বিয়ের প্রস্তুতি, প্রি ওয়েডিংয়ে শাহরুখের বিশেষ নাচ! ভিডিও ভাইরাল
সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট বলছে, অনন্ত-রাধিকার বিবাহ-পূর্ববর্তী উৎসবে উপস্থিত থাকতে পারেন মেটা সিইও মার্ক জুকারবার্গ, মর্গ্যান স্ট্যানলি সিইও টেড পিক, মাইক্রোসফট প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস, ডিজনি সিইও বব আইগার, ব্ল্যাকরক সিইও ল্যারি ফিঙ্ক, অ্যাডনক সিইও সুলতান আহমেদ আল জাবের এবং ইএল রথসচাইল্ড চেয়ারপার্সন লিন ফরেস্টার ডি রথসচাইল্ড।
এখানেই শেষ নয়, এর পাশাপাশি অতিথি তালিকায় জ্বলজ্বল করছে আরও নাম। সেই সম্মানীয় অতিথিদের মধ্যে থাকবেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী মহম্মদ বিন আব্দুল রহমান বিন জসিম আল থানি, বিপি-র সিইও মরি অকিনক্লস, কলোনি ক্যাপিটালের চেয়ারম্যান এবং প্রতিষ্ঠাতা থমাস ব্যারাক, স্যুইডেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী কার্ল বিল্ত, জেসি২ ভেঞ্চার্সের সিইও জন চেম্বার্স, এক্সর-এর একজিকিউটিভ চেয়ারম্যান জন এলকান, এন্ডেভর সিইও অ্যারি ইম্যানুয়েল, জেনারেল অ্যাটলান্টিক চেয়ারম্যান এবং সিইও বিল ফোর্ড, ব্ল্যাকস্টোন গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা স্টিফেন শোয়ার্ৎসম্যান, ব্যাঙ্ক অফ আমেরিকার চেয়ারম্যান ব্রায়ান থমাস ময়নিহ্যান, ইনভেস্টর কার্লোস স্লিম, স্যামসাং ইলেকট্রনিক্সের একজিকিউটিভ চেয়ারম্যান জ্যায় লি, ব্রিজওয়াটার অ্যাসোসিয়েটস-এর প্রতিষ্ঠাতা রেমন্ড দালিও, হিলহাউজ ক্যাপিটালের প্রতিষ্ঠাতা ঝাং লেই, ওকট্রি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্টের সহ-প্রতিষ্ঠাতা হওয়ার্ড মার্কস, ইয়র্ক ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্টের প্রতিষ্ঠাতা জেমস ডিনান, ব্রুকফিল্ড অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট ব্রুস ফ্ল্যাট, মর্গ্যান স্ট্যানলির ম্যানেজিং ডিরেক্টর মাইকেল গ্রাইমজ, কানাডার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী স্টিফেন হার্পার, গুগলের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড হ্যারিসন এবং হিল্টন অ্যান্ড হাইল্যান্ডের চেয়ারম্যান রিচার্ড হিল্টন।
আরও পড়ুন: সানি দেওল আউট, যুবরাজ সিং ইন? গুরদাসপুর লোকসভায় BJP-র প্রার্থী যুবরাজ! তুঙ্গে জল্পনা
সেই সঙ্গে অনন্ত-রাধিকার প্রি-ওয়েডিং উৎসবের অতিথি তালিকায় থাকছেন বার্কশায়ার হ্যাথওয়ের ভাইস চেয়ারম্যান অজিত জৈন, ম্যান্ডারিন ওরিয়েন্টালের বোর্ড মেম্বার আর্চি কেসিক, বিজ্ঞানী ড. রিচার্ড ক্লজনার, পিওটিইউএস-এর প্রাক্তন উপদেষ্টা ইভাঙ্কা ট্রাম্প, থ্রাইভ ক্যাপিটালের প্রতিষ্ঠাতা জোশ্য়ুয়া কুশনার, প্রাক্তন গভর্নর ও ব্যবসায়ী টেরি ম্যাকলিফ, বিজ্ঞানী এবং অন্ত্রেপ্রেনর ইউরি মিলনার, এশিয়া প্যাসিফিক, স্ন্যাপ ইঙ্ক – প্রেসিডেন্ট অজিত মোহন, অ্যাডোবি-র সিইও শান্তনু নারায়ণ, ভুটানের রাজা ও রানি, ব্যাঙ্ক অফ আমেরিকার ভাইস চেয়ারম্যান পূর্ণ সাগ্গুরটি, বলিভিয়ার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট হর্হে কিওরগা, অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী কেভিন রুড, শ্মেট ফিউচার্সের প্রতিষ্ঠাতা এরিক শ্মেট, ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের চেয়ারপার্সন ক্লজ শোয়াব, শেরপালো-র ফাউন্ডিং অ্যান্ড ম্যানেজিং পার্টনার রাম শ্রীরাম, এন্টারপ্রাইজ জিপি-র সিইও জিম টিগ, সাংবাদিক ফরিদ জাকারিয়া এবং ইনভেস্টরএবি-র এক্সপ্রেসিডেন্ট এবং সিইও মার্কাস ওয়ালেনবার্গ।
রাধিকা-অনন্তের প্রি-ওয়েডিং উৎসবের বিশ্ববরেণ্য অতিথিরা ভারতের সমৃদ্ধ সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের স্বাদ আস্বাদন করতে পারবেন। গুজরাতের কচ্ছ এবং লালপুরের স্থানীয় মহিলাদের হাতের তৈরি স্কার্ফ দেওয়া হবে অতিথিদের। শুক্রবারই রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন নিজেদের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডলে একটি ভিডিও পোস্ট করেছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, আম্বানি পরিবারের ছোট ছেলের প্রি-ওয়েডিং অনুষ্ঠানের জন্য গুজরাতি মহিলারা বাঁধনি স্কার্ফ তৈরি করছেন। ওই ভিডিও ক্লিপে এ-ও দেখা গিয়েছে যে, রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের ফাউন্ডার এবং চেয়ারপার্সন নীতা আম্বানি শিল্পীদের সঙ্গে দেখা করেন এবং তাঁদের কঠোর পরিশ্রম দেখে নিজের আনন্দ-উচ্ছ্বাসও প্রকাশ করেন তিনি।
ওই পোস্টের তলায় রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের তরফে ক্যাপশন দেওয়া হয়, থ্রেডস অফ লাভ অ্যান্ড হেরিটেজ: আ ট্যাপেস্ট্রি উয়োভেন ফর অনন্ত অ্যান্ড রাধিকা। অনন্ত এবং রাধিকার আসন্ন মিলনের জন্য স্বপ্নের ট্যাপেস্ট্রি বুনতে ভারতীয় ঐতিহ্যকে শ্রদ্ধা জানিয়েই কচ্ছ এবং লালপুরের মহিলা শিল্পীদের নিয়োগ করেছে আম্বানি পরিবার।
ক্যাপশনে আরও লেখা হয়েছে যে, ওই মহিলারা নিজের মন-প্রাণ ঢেলে দিচ্ছেন এই শিল্পে। সেই সঙ্গে সংরক্ষণ করছেন বহু-প্রাচীন কলাকৌশলকেও। আর প্রাচীন ভূমির মতোই গল্পকেও জীবন্ত করে করে তুলছেন তাঁরা। সম্প্রদায়গুলির ক্ষমতায়ন এবং বহু-প্রাচীন কারিগরিকে সংরক্ষণ করার জন্য কাজ করছে স্বদেশ।
আর আম্বানি পরিবারের এই মহা-উদযাপনের মাধ্যমে আবার শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ওয়েড ইন ইন্ডিয়া বার্তাকেও। কারণ প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীর কাছে আর্জি জানিয়ে বলেছিলেন যে, বিদেশের ডেস্টিনেশন ওয়েডিংয়ের পরিবর্তে ভারতের কোনও স্থানকেই বিয়ের জন্য বেছে নেওয়ার জন্য মানুষকে আরও উৎসাহিত করতে হবে। যাতে দেশের সম্পদ দেশের মধ্যেই থেকে যায়।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন যে, “বিদেশে বিয়ের অনুষ্ঠান করা কি সঠিক? বিয়ে কি আমাদের দেশে করা যায় না? ভারতের কত সম্পদ বাইরে চলে যাচ্ছে। আপনাদের উচিত এমন পরিবেশ তৈরি করা, যাতে এই বিদেশে গিয়ে বিয়ে করার রোগ আপনাদের সম্প্রদায়ে যেন প্রবেশ করতে না পারে। আমি বলতে চাই ওয়েড ইন ইন্ডিয়া, যা অনেকটা মেড ইন ইন্ডিয়া, ম্যারি ইন ইন্ডিয়ার মতো”।