এই ঘটনা ঘটে ১৪ জুলাই, ২০২৫, ইন্ডিগো সংস্থার ৬E-৬০১১ নম্বর ফ্লাইটে, যা চেন্নাই থেকে গুয়াহাটি যাচ্ছিল।
✈️ কী ঘটেছিল বিমানে?
ভারতীয় সেনার তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, “বিমানটি উড়ন্ত অবস্থায় ছিল, তখন বিকেল ৬টা ২০ মিনিট নাগাদ, বিমানে থাকা ৭৫ বছর বয়সী এক যাত্রী হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। তিনি অজ্ঞান হয়ে যান এবং তাঁর শরীরে হাইপোগ্লাইসেমিয়ার লক্ষণ দেখা যায়—অতিরিক্ত ঘাম, দুর্বল নাড়ি এবং হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যাওয়া।”
advertisement
বর্ষায় জমিতে নামলেই সাপের ভয়? ৬ ফুটের জিনিসটা মাটিতে ছুঁড়লেই লেজ গুটিয়ে পালাবে ইয়া বড় বড় বিষধর!
👨⚕️ তখনই এগিয়ে এলেন সেনা অফিসার
বিমান সেবিকার দল সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে অক্সিজেন দেন ও বিমানে চিকিৎসার জন্য ঘোষণাও করেন। তখনই ছুটিতে থাকা একজন সেনা ডাক্তার, মেজর মুখুন্দন, যিনি সেই বিমানে যাত্রী হিসেবেই ফিরছিলেন, এগিয়ে আসেন সাহায্য করতে।
সেনার পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, “পরীক্ষা করে মেজর মুখুন্দন বুঝতে পারেন যে রোগী অচেতন অবস্থায় রয়েছেন, তবে তাঁর পিউপিল (চোখের মণি) প্রতিক্রিয়াশীল ছিল এবং হাইপোগ্লাইসেমিয়ার লক্ষণ স্পষ্ট ছিল। বিমানের সীমিত সরঞ্জাম ব্যবহার করেই তিনি মুখে চিনি ও ওআরএস (ORS) দেন, এবং রোগীর পালস ও অক্সিজেন লেভেল পর্যবেক্ষণ করতে থাকেন।”
🏥 এরপর কী হয়?
বিমান গুয়াহাটিতে অবতরণ করার পর, ওই বৃদ্ধ যাত্রীকে সঙ্গে সঙ্গে এয়ারপোর্টের ইমারজেন্সি রুমে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেও মেজর মুখুন্দন চিকিৎসা চালিয়ে যান। রাত আটটা নাগাদ রোগীর জ্ঞান ফেরে এবং তিনি স্থিতিশীল অবস্থায় পৌঁছান।
ভারতীয় সেনার বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “মেজর মুখুন্দনের তাৎক্ষণিক ও নিঃস্বার্থ পদক্ষেপ এবং কেবিন ক্রুদের সহযোগিতাতেই এক মূল্যবান প্রাণ রক্ষা পেয়েছে। এমন মানবিকতা সত্যিই প্রশংসনীয়।” এই ঘটনা প্রমাণ করে, একজন সেনা শুধুমাত্র সীমান্তেই রক্ষাকর্তা নন, বিপদের মুহূর্তে তিনিই হন মানুষের পরম আশ্রয়।