আরও পড়ুন: সৌরভের বাড়িতে কেন যাচ্ছেন অমিত শাহ? দিলীপ ঘোষের মন্তব্যে জল্পনা শুরু
অমিত শাহ বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বললেন, "আজ বিজেপির জেলা উপাধক্ষ্য অর্জুন চৌরাসিয়াকে খুন করা হয়েছে। ওঁর পরিবারকে সমবেদনা জানাই। গতকালই তৃণমূল সরকারের এক বছর হয়েছে, তার পরের দিনই রাজনৈতিক হিংসার পরম্পরা চলছে। পুরো বাংলায় যেখানেই যান, রাজনৈতিক হিংসা, প্রতিশোধস্পৃহা ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের লোকেদের বেছে বেছে মারা হচ্ছে। বিজেপি এই হত্য়ার নিন্দা করছে। আমরা বিজেপি-র সদস্য়রা আমরা আদালতের সামনে গিয়ে হত্য়াকারীর কড়া সাজা চাইব। পরিবারের সঙ্গে আমার বিস্তারিত কথা হয়েছে। ছেলের মৃত্য়ুতে শোক যেমন আছে, তার পরেও প্রশাসন যে আচরণ করেছে, তাতেও তাঁরা ভেঙে পড়েছেন। তবে বিজেপি-র সামনে পাঁচিলের মতো দাঁড়িয়ে রক্ষা করবে। আজও ভারত সরকার হিংসার পরিস্থিতি নিয়ে রিপোর্ট তলব করেছে।"
advertisement
আরও পড়ুন: ফের ঝড়ের মুখে বাংলা, নবান্নে বসছে জরুরি বৈঠক! কী নিয়ে আলোচনা?
পাশাপাশি, উত্তরবঙ্গের সভা থেকে যেভাবে অমিত শাহ ভোট পরবর্তী হিংসার প্রসঙ্গ তুলেছিলেন, তেমন এদিনও বলেন, "আমি আজ বাংলার সাধারণ মানুষকে বলতে চাই, এই সংস্কৃতির বিরুদ্ধে বিজেপি লড়ছে। বাংলার অন্দরে বিরোধীদের ভয় দেখানো, খুন করে দেওয়া শুরু হয়েছিল বাম আমলে, তৃণমূল আমলে তা বেড়েছে। আমি আর্তের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি, ওঁর দিদিমাকেও ছাড়া হয়নি। বিজেপির পক্ষ থেকে আদালতের কাছে যাওয়া হয়েছে। আমরা চাই, এর তদন্ত সিবিআই করুক।" হিংসা নিয়ে তাঁর বক্তব্য়, গত কাল তৃণমূল সরকারের এক বছর শেষ হওয়ার পর এই খুনের মাধ্য়মে যে বার্তা দেওযা হয়েছে, "এই সংস্কৃতি চলবে। আমরা হিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। অর্জুনের হত্য়াকারীদের কড়া সাজা দেওয়ার আবেদন করব আদালতে। দেশের কোনও প্রান্তে এত বেশি মামলার তদন্ত সিবিআইকে দেওয়া হয়নি, পশ্চিমবঙ্গের যত মামলা সিবিআইকে দিয়েছে আদালত।