অমিত শাহ বৈঠকের পর এক্স (পূর্বতন টুইটার)-এ জানান, তিনি আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন যাতে “এই ঘটনায় জড়িত প্রত্যেক অপরাধীকে খুঁজে বার করে আইন অনুযায়ী কঠোর শাস্তি দেওয়া হয়।” তাঁর পোস্টে লেখেন, “দিল্লি গাড়ি বিস্ফোরণ নিয়ে সিনিয়র আধিকারিকদের সঙ্গে রিভিউ মিটিং করেছি। নির্দেশ দিয়েছি— এই ঘটনায় জড়িত প্রত্যেক অপরাধীকে খুঁজে বার করতেই হবে। যারা এই নৃশংস কাজ করেছে, তারা আমাদের এজেন্সিগুলির কঠোরতম পদক্ষেপের সম্মুখীন হবে।”
advertisement
UAPA মামলা, রাজধানীতে তল্লাশি অভিযান
ঘটনার তদন্তে দিল্লি পুলিশ অসাংবিধানিক কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন (UAPA) এবং বিস্ফোরক আইন অনুযায়ী মামলা দায়ের করেছে। তদন্তে সন্ত্রাসমূলক ষড়যন্ত্রের ধারাও যুক্ত হয়েছে। মঙ্গলবার রাত থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ধারাবাহিক তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ ও তদন্তকারী সংস্থাগুলি।
প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে, দিল্লি বিস্ফোরণের সঙ্গে ফরিদাবাদে ধরা পড়া এক সন্ত্রাসচক্রের সম্ভাব্য যোগসূত্র রয়েছে। ফলে দিল্লি, গুরগাঁও, নোয়ডা এবং গাজিয়াবাদে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বিমানবন্দর, রেলস্টেশন, বাস টার্মিনাল—সব জায়গায় চলছে কড়া তল্লাশি। রাজধানীর হোটেল, গেস্ট হাউস ও সীমান্ত প্রবেশপথগুলিতেও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
বিস্ফোরক গাড়ি চালাচ্ছিল কে?
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামার বাসিন্দা উমর মহম্মদ, পেশায় চিকিৎসক, ওই হুন্ডাই i20 গাড়িটি চালাচ্ছিলেন যা লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের পার্কিং এলাকার কাছে বিস্ফোরিত হয়। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, বিস্ফোরণের কয়েক মুহূর্ত আগে উমরকে গাড়ি চালাতে দেখা যায়।
পুরো ঘটনাকে কেন্দ্র করে দিল্লি জুড়ে উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। তদন্তকারীরা মনে করছেন, এই বিস্ফোরণের সূত্র রাজধানী পেরিয়ে বৃহত্তর জঙ্গি মডিউলের দিকেও পৌঁছতে পারে।
