এমনকি, একটু সাহায্য পেলে তাঁর পরিবার আবার ভারতে ফিরে আসতে চায় বলেও জানিয়েছেন অপু৷
তিনি বলেন, ‘‘ওর (দীপু) একটা ছোট বাচ্চা আছে৷ আমরা যদি সুযোগ পাই আমরা সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশ ছেড়ে দেব৷ আমরা যদি একটু সাহায্য পাই, আমরা ভারতে ফিরে যেতে চাই৷’’
অপু CNN News18-কে জানিয়েছে, তাঁর ভাই দীপু সমানে বলেছিল, সেকারওকে অপমান করেননি৷
advertisement
আরও পড়ুন: ভিসা দেওয়া বন্ধ করল বাংলাদেশ! দু’দেশের সম্পর্কে টানাপড়েন, ‘অনিবার্য পরিস্থিতি’র মুখে বড় সিদ্ধান্ত হাই কমিশনের
ময়মনসিংহ শহরের একটি কাপড়ের কারখানায় কাজ করত দীপু৷ দীপুকে প্রথমে ইসলাম অবমাননার অভিযোগে তাঁর চাকরি ছাড়তে বাধ্য করে তাঁর ফ্লোর ম্যানেজার৷ এরপর তাকে কারখানার বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা উন্মত্ত ভিড়ে হাতে তুলে দেওয়া হয়৷ তারপর তাকে এলোপাথাড়ি মারা হয়৷ শেষে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় একটি গাছের সঙ্গে৷ তারপর আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়৷
এক্স-এ (প্রাক্তন টুইটার) একটি ভিডিও শেয়ার করে তসলিমা নাসরিন লিখেছেন, “হিন্দু-বিদ্বেষী মুসলিমরা দীপুকে সরাসরি কারখানা থেকে তুলে নিয়ে যায়। দীপু কোনও অপরাধ করেনি। জিহাদি শ্রমিকদের ছড়ানো গুজবের কারণে ফ্লোর ম্যানেজার তাকে পদত্যাগে বাধ্য করে। বাইরে যে হিংস্র জনতা অপেক্ষা করছে তা জেনেও পুলিশকে না জানিয়ে দরজা খুলে দেওয়া হয়। তার পরই ওরা তাকে ছিঁড়ে খায়।”
ভারতবিরোধী ছাত্রনেতা ওসমান হাদির মৃত্যুর পরে হিংসা বিধ্বস্ত বাংলাদেশের মধ্যেই গত বৃহস্পতিবার এই ভয়ঙ্কর সংখ্যালঘু হত্যার ঘটনা ঘটে৷ পুলিশ জানিয়েছে, ওই তরুণকে হত্যার পরে ভিড়ে থাকা লোকেরাই তার দেহ ঢাকা-ময়মনসিংহ হাইওয়ের ধারে নিয়ে আসে৷ একটা গাছে তোলে৷ তারপুর আগুন লাগিয়ে দেয়৷ ঘটনার জেরে থমকে দাঁড়িয়ে যায় দু’দিকের যানবাহন৷
