আরও পড়ুন: আম্বেদকর মন্তব্যে ঝড় রাজ্যসভা-লোকসভায়, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতে রাহুল-খাড়গে
বাবাসাহেব অম্বেডকর সম্পর্কে কংগ্রেসের মনোভাবের কথা তুলে ধরে শাহ বলেন, “ভারতরত্ন দেওয়ার বিষয়ে কংগ্রেস নেতারা নিজেরাই নিজেদের এই সম্মান দিয়েছেন। ১৯৫৫ সালে নেহেরু নিজেকে ভারতরত্ন দিয়েছিলেন, ১৯৭১ সালে ইন্দিরা নিজেকে এই সম্মান দিয়েছিলেন। আর বাবাসাহেব ১৯৯০ সালে ভারতরত্ন পান, যখন কংগ্রেস ক্ষমতায় ছিল না এবং ভারতীয় জনতা পার্টির সমর্থিত সরকার ছিল। নেহেরুর অম্বেডকর বিরোধী মনোভাব সবার জানা।”
advertisement
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও অভিযোগ করেন যে কংগ্রেস তথ্য বিকৃতভাবে উপস্থাপন করছে। তিনি বলেন, “আমি এর নিন্দা জানাই… কংগ্রেস অম্বেডকর-বিরোধী, তারা সংরক্ষণ এবং সংবিধানের বিরোধী। কংগ্রেস বীর সাভারকারকেও অপমান করেছে।”
অমিত শাহের মন্তব্য নিয়ে বিরোধী দলের সদস্যরা প্রবল বিক্ষোভ করেন এবং তাঁর ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানান। কংগ্রেসের মতে, শাহের বক্তব্য অনুযায়ী তিনি ডঃ বি আর অম্বেডকরকে অপমান করেছেন, এজন্য তারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেছে।
আরও পড়ুন: ট্রাকের সঙ্গে ভয়াবহ সংঘর্ষ! বাড়ি ফেরা হল না ৭ জনের, মৃত এক শিশুও
এদিকে, তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভা নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন অম্বেডকর সম্পর্কে অমিত শাহের মন্তব্য নিয়ে তার বিরুদ্ধে একটি প্রিভিলেজ মোশন পেশ করেছেন।
অমিত শাহ কংগ্রেসকে তথ্য বিকৃতির অভিযোগ তুলে পাল্টা আক্রমণ করেন এবং বলেন, “এর আগেও কংগ্রেস প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সম্পাদিত বক্তব্য প্রকাশ করেছিল। যখন নির্বাচন চলছিল, আমার বক্তব্য এআই ব্যবহার করে এডিট করা হয়েছিল। আজ তারা আমার বক্তব্য বিকৃতভাবে উপস্থাপন করছে। আমি মিডিয়ার কাছেও অনুরোধ করব, পুরো বক্তব্য জনসাধারণের সামনে তুলে ধরতে। আমি এমন একটি দলের সদস্য, যারা কখনও আম্বেডকরজিকে অপমান করবে না।”
শাহ এরপর আরও বলেছেন, “ভারতীয় জনতা পার্টি সর্বদা আম্বেডকরজির নীতিগুলি অনুসরণ করার চেষ্টা করেছে। যখনই বিজেপি ক্ষমতায় এসেছে, আমরা আম্বেডকরজির নীতিগুলি প্রচার করেছি। বিজেপি সংরক্ষণ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে কাজ করেছে।”
বিজেপিকে আক্রমণ তীব্রতর করে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বুধবার অমিত শাহের মন্তব্যকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলে আখ্যা দিয়ে বলেন, গেরুয়া শিবির সংবিধানে বিশ্বাস করে না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বুধবার রাজ্যসভায় তার বক্তৃতায় অমিত শাহকে কংগ্রেসের আক্রমণ থেকে রক্ষা করার চেষ্টা করেন৷ তিনি বলেন যে, শাহ কংগ্রেসের অম্বেডকর বিরোধী “অন্ধকার ইতিহাস” প্রকাশ্যে টেনে এনেছেন। আর এটাই কংগ্রেসের হজম হয়নি৷
প্রসঙ্গত অমিত শাহ ঠিক কী বলেছিলেন? বিতর্ক শুরু হয়েছিল যখন তিনি রাজ্যসভায় সংবিধান নিয়ে আলোচনার সময় বলেন, “এখন একটি ফ্যাশন হয়ে গেছে – অম্বেডকর, অম্বেডকর, অম্বেডকর, অম্বেডকর, অম্বেডকর। এত নাম যদি কেউ ভগবানের নিত, তাহলে সে সাত জন্মের জন্য স্বর্গে জায়গা পেয়ে যেত।”