advertisement
রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ দিল্লির জওহরলাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ও তিনটি হস্টেলে ঢুকে তাণ্ডব চালায় একদল দুষ্কৃতি ৷ হামলায় মাথা ফেটেছে ছাত্র ইউনিয়নের সভানেত্রী ঐশী ঘোষের ৷ গুরুতর আহত আধ্যাপিকা সুচরিতা সেনও ৷ তাঁদের এআইআইএমএস-এ ভর্তি করা হয়েছে ৷ আহত আরও ২৩জন ছাত্রছাত্রীকে এআইআইএমএস এবং সফদরজঙ্গ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ৷
প্রত্যক্ষদর্শী ছাত্ররা জানিয়েছেন, মুখে কালো কাপড় ঢাকা জনা পঞ্চাশেক দুষ্কৃতী অতর্কিতে হামলা চালায় ক্যাম্পাসে ৷ ভয় পেয়ে ছাত্রছাত্রীরা তখন এক অধ্যাপককে ফোন করে সাহায্য চান ৷ স্টুডেন্টস ইউনিয়নের সহ-সভাপতি শাকেত মুন জানান, দুষ্কৃতীরা প্রতিটি ঘরে ঢুকে ছাত্রছাত্রদের এলোপাথারে মারতে থাকে ৷ শাকেত অভিযোগ করেন, নিরাপত্তারক্ষীরা নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছিলেন ৷ ফলে বাধাহীন ভাবেই এরপর হস্টেলে ঢুকে পড়ে দুষ্কৃতীরা ৷ বড় বড় পাথর ছুঁড়তে থাকে ৷ কয়েকটি গাড়ি পার্ক করা ছিল হস্টেলের বাইরে ৷ সেগুলিও ভেঙে দেয় তারা ৷ যে অধ্যাপকরা ছাত্রদের বাঁচাতে আসেন তাঁদেরও মারধর করা হয় ৷
কিন্তু গোটা ঘটনাতেই বারবার প্রশ্ন ওঠে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ৷ কেন নিরস্ত্র ছাত্রদের উপর হামলা হওয়ার পরেও কার্যত নীরব দর্শকের ভূমিকা নিল দিল্লি পুলিশ, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন ছাত্রছাত্রীরা ৷