বিজেপি প্যানেলিস্টদের কোনও উত্তপ্ত আলোচনার সময়তেই সীমা লঙ্ঘন করতে নিষেধ করা হয়েছে। নিজেদের ভাষা সংযত রাখতে এবং উত্তেজিত না হওয়ার জন্যও অনুরোধ করা হয়েছে, জানিয়েছে এক সূত্র। বিজেপি আরও জানিয়েছে, কোনও উসকানিতেই দলের আদর্শ বা নীতি লঙ্ঘন করতে পারবেন না বক্তারা।
আরও পড়ুন-আপ মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈনের আর্থিক তছরুপের মামলায় উদ্ধার নগদ ২ কোটি, সোনার কয়েন!
advertisement
বিজেপি তার মুখপাত্রদের আরও নির্দেশ দিয়েছে, “কোনও চ্যানেলে উপস্থিত হওয়ার আগে প্রথমে আলোচনার বিষয়টি খতিয়ে দেখুন, এর জন্য প্রস্তুতি নিন এবং এতে দলীয় লাইন খুঁজে বের করুন।”
“দলের মুখপাত্র এবং প্যানেলিস্টদের নির্দিষ্ট বিষয়ের পথেই থাকা উচিত। তাঁরা যেন কোনও ফাঁদে না পড়েন,” জানিয়েছে এক সূত্র। বিজেপিও চাইছে, দলের মুখপাত্ররা সরকারের সামাজিক কল্যাণমূলক কাজেই মনোনিবেশ করুক।
আরও পড়ুন- রাজ্যে শিল্পীর স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের অভিযোগ, রোদ্দুর রায়ের মুক্তির দাবি APDR-এর
দিন দশেক আগে একটি টেলিভিশন বিতর্কের সময় নবী বিষয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন তিনি। ট্যুইটারে নূপুর বলেছিলেন, তাঁর এই মন্তব্যগুলি শিবের ‘অপমানের’ প্রতিক্রিয়ার অংশ ছিল। নূপুর শর্মাকে বরখাস্ত করেছে দল। আরেক দলীয় নেতা নবীন জিন্দালকেও নবী মোহাম্মদ সম্পর্কে একটি ট্যুইট পোস্ট করার জন্য বহিষ্কার করা হয়েছিল, পরে অবশ্য ট্যুইট ডিলিট করেন তিনি।
রবিবার বিজেপি জানিয়েছে, “কোন সম্প্রদায় বা ধর্মকে অপমান করে বা অবমাননা করে এমন মতাদর্শের বিরুদ্ধে অবস্থান বিজেপির” এবং “এই ধরনের ব্যক্তি বা দর্শনকে বিজেপি প্রচারও করে না”। বিজেপি ক্ষতি নিয়ন্ত্রণের নানা প্রচেষ্টা করলেও, ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি মুসলিম দেশ ভারতের রাষ্ট্রদূতদের তলব করেছে এবং এই মন্তব্যের জন্য ক্ষমা দাবি করেছে।