প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং ট্যুইট করে লেখেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে নর্দার্ন কমান্ডের মিলিটারি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল (উপেন্দ্র) দ্বিবেদী এবং অমরনাথ শ্রাইন বোর্ডের সিইও (প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা) ডঃ মনদীপ ভান্ডারির সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁরা এই পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। বৃহস্পতিবার রাত থেকে জম্মু ও কাশ্মীরের বিভিন্ন অংশে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে, অমরনাথ গুহা মন্দিরের আশেপাশের এলাকায় তুষারপাত হতে দেখা গিয়েছে। জুলাই মাসে ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে কিছু জায়গায় রেকর্ড বৃষ্টিপাত হতে দেখা গিয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: অবাক কাণ্ড! মাঠে নেমে ধান চাষ করলেন রাহুল! চালালেন ট্রাক্টরও
একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ‘খারাপ আবহাওয়ার কারণে, যাত্রা দ্বিতীয় দিনের জন্য পাহলগাম এবং বালতাল উভয় রুট থেকেই বন্ধ রাখা হয়েছে।’ এক পুলিশ আধিকারিক বলেছেন, ‘উপত্যকায় যাত্রা স্থগিত রাখার পাশাপাশি, খারাপ আবহাওয়ার কারণে আজ সকালে ভগবতী নগর বেস ক্যাম্প থেকে যাত্রার জন্য কোনও নতুন দলকে অনুমতি দেওয়া হয়নি।’ বিভাগীয় কমিশনার, জম্মু, রমেশ কুমার বলেছেন, ‘জম্মু অঞ্চলে প্রায় ১৫,০০০ তীর্থযাত্রী আটকে আছে এবং পাঁচটি জেলার ডেপুটি কমিশনাররা যাত্রীদের রাখার জন্য ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার (ইওসি) করার নির্দেশ দিয়েছে।
আরও পড়ুন: কবে কমবে টমেটোর দাম? আসল খবর শুনলে মাথায় হাত পড়বে! জেনে নিন চটপট
জম্মু ও রামবন জেলায় প্রায় ৬০০০ জন , সাম্বাতে ১২০০ জন, কাঠুয়ায় ১১০০ জন এবং উধমপুর জেলায় ৬০০ জনকে ‘যাত্রী নিবাসে’ রাখা হয়েছে। আবহাওয়া দফতর থেকে জানিয়েছে যে রবিবার জম্মু ও কাশ্মীরের বেশিরভাগ অঞ্চলে মাঝে মাঝে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে, তবে জম্মু বিভাগের কয়েকটি জায়গায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। মৌসুমী বায়ু এবং পশ্চিমী ঝড়ের কারণে ১০ থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত মেঘলা আবহাওয়া থাকবে।
একজন মুখপাত্র বলেছেন যে যাত্রার জন্য নিবন্ধন এবং টোকেন বিতরণ রবিবার দ্বিতীয় দিনের জন্য স্থগিত থাকবে। জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা বলেছেন, ‘যাত্রীদের নিরাপত্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তাই তার জন্য সমস্ত ব্যবস্থা রয়েছে।’ পাশাপাশি তিনি জানান আগামীকাল থেকে আবহাওয়ার উন্নতি হওয়ার একটা সম্ভবনা রয়েছে তাই যাত্রা আবার শুরু হবে বলে আশা করছেন।
এ পর্যন্ত দক্ষিণ কাশ্মীর হিমালয়ের ৩৮৮৮ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত গুহা মন্দিরে ৮০০০০-এরও বেশি তীর্থযাত্রী ৬২ দিনের পবিত্র গুহা মন্দির দর্শন করেছেন। যা ১ জুলাই অনন্তনাগ জেলার পাহালগাম ও গান্ডারবাল জেলার বালতাল থেকে শুরু হয়েছিল, ৩১ আগস্ট শেষ হবে এই যাত্রা।
তীর্থযাত্রীরা জম্মুর বিভিন্ন স্থানে এবং জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় মহাসড়কের চান্দেরকোটে আটকা পড়েছেন। এখানের বহু রাস্তা যা ভূমিরধসে বা পান্থিয়াল টানেলের কাছে রাস্তার একটি অংশ ভেসে যাওয়ার পরে যান চলাচলের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। তবে এত কিছুতেও যাত্রীরা হাল ছাড়তে রাজি নয়। তাঁরা জানিয়েছেন আবহাওয়া পরিষ্কার হওয়ার জন্য অপেক্ষা করবে এবং তাদের যাত্রা শেষ করবেন।
আধিকারিকরা শনিবার বলেছেন, সেনাবাহিনী অমরনাথ তীর্থযাত্রীদের নিরাপদ পথ নিশ্চিত করতে প্রতিদিন জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় সড়কের বিশেষ এলাকায় ড্রোন-সহ নজরদারি অন্যান্য সরঞ্জাম এবং স্নিফার কুকুর নিয়ে টহল দিচ্ছে। একজন ঊর্ধ্বতন নিরাপত্তা আধিকারিক বলেছেন, “তীর্থযাত্রীদের নিরাপদ ভ্রমণ নিশ্চিত করতে, সেনাবাহিনী জম্মু থেকে বানিহাল এবং তার বাইরে পুরো যাত্রা পথে ভাল করে টহল চালাচ্ছে।”