অমরনাথ যাত্রায় হামলার ইতিহাস দেখি, তাহলে ৯০ এর দশক থেকে এই যাত্রা জঙ্গিদের সরাসরি টার্গেট হয়ে ওঠে। অমরনাথ যাত্রায় প্রথম হামলা হয় ১৯৯৩ সালে৷ এরপর ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত প্রতি বছরই সন্ত্রাসবাদী হামলা হয়, কিন্তু সবচেয়ে বড় হামলার ষড়যন্ত্র হয় ২০০০ সালে। পাহালগাম বেস ক্যাম্পে গুলি চালানো ঘটনা ঘটেছিল৷ এতে ৩২ জন প্রাণ হারায় এবং প্রায় ৬০ জন আহত হয়েছিলেন। এর পরে, ২০০১ সালে, পহেলগাম বেস ক্যাম্পের কাছে শেষনাগ হ্রদে যাত্রীদের ক্যাম্পে গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়েছিল, যাতে ১২ জন নিহত এবং ১৫ জন আহত হয়েছিল। ফের ২০০২ সালে যাত্রী ছাউনি লক্ষ্য করে গ্রেনেড ছোঁড়া হয়েছিল এবং ২০০৬ সালে যাত্রীবাহী বাসকে লক্ষ্য করে ফের গ্রেনেড হামলা হয়৷
advertisement
আরও পড়ুন – Cyclonic Circulation: ২৪ ঘণ্টার পর আবহাওয়ায় বড় চেঞ্জ, গরম থেকে বাঁচতে বৃষ্টিই ভরসা, কখন,কোথায়
২০০৬ সালের পর প্রায় ১১ বছর ধরে কোনও আক্রমণ হয়নি, তবে ২০১৭ সালে আবারও অমরনাথ যাত্রীদের বাস লক্ষ্য করে গুলি চালায়, যাতে ৭ জনের মৃ্ত্যু হয়৷ আহত হয়েছিলেন ৩২ জন৷ এরপর থেকে এখনও পর্যন্ত অর্থাৎ ৬ বছরে ভারতীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা এতটাই মজবুত করা হয়েছে যে জঙ্গিরা হামলা চালানোর সাহস করেনি৷ ভারতীয় সেনাবাহিনীর অপারেশন অল আউট, যাতে নিরাপত্তা বাহিনী বেছে বেছে জঙ্গিদের খতম করে দিচ্ছে৷
সৈন্যদের ছুটিতে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে
আবার ২০২৩ এ অমরনাথ যাত্রা শুরুর মধ্যেই সেনা কনভয়ের ওপর সন্ত্রাসবাদী হামলার ছায়া। বিশেষ করে সেই জওয়ানদের জন্য যারা ছুটিতে বাড়ি ফিরতে চলেছেন। ছুটিতে বাড়ি যাওয়ার সময় সৈন্যরা এখন বিমানের পরিবর্তে সড়ক পথে যাচ্ছেন৷
গত তিন বছর ধরে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এয়ার সার্ভিস যাকে চার্টার্ড ফ্লাইটও বলা হয় তা পাওয়া যাচ্ছে না। ২০২০ সালে, কোভিডের কারণে, সবরকমের চলাচলে নিষেধাজ্ঞা ছিল, তাই চার্টার্ড ফ্লাইটগুলি পরিচালনা করা হয়নি, তবে করোনার দাপট কেটে গেলেও এই সুবিধাটি এখনও পর্যন্ত স্বাভাবিক হয়নি। ২০২২ সালে, চার্টার্ড ফ্লাইটের জন্য কোনও এয়ারলাইনসকে টেন্ডার দেওয়া হয়নি, যার কারণে সামনের জায়গায় পোস্টেড জওয়ানদের সড়ক পথই ব্যবহার করতে হচ্ছে৷