রায় দিতে গিয়ে এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি সিদ্ধার্থ বলেন, ‘বিয়ের মাধ্যমে একজন ব্যক্তি যে সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা, নিরাপত্তা এবং স্থায়িত্ব পান, তা কখনওই লিভ ইন সম্পর্কের মাধ্যমে সম্ভব নয়৷ প্রত্যেক মরশুমে সঙ্গী বদলের নিষ্ঠুর ভাবনা, কখনও একটি সুস্থ এবং স্থায়ী সমাজের প্রতীক হতে পারে না৷’
হাইকোর্টের বিচারপতি আরও বলেন, ‘লিভ ইন সম্পর্ককে তখনই স্বাভাবিক বলে ধরে নেওয়া যায় যখন এ দেশ থেকে বিয়ের ব্যবস্থাটাই উঠে যাবে৷ যেমন অনেক উন্নত দেশে হয়েছে৷’ হাইকোর্ট পর্যবেক্ষণে আরও জানায়, এই একই পথে এগিয়ে এ দেশেও ভবিষ্যতের জন্য বড় সমস্যাকে ডেকে আনা হচ্ছে৷
advertisement
বিচারপতি সিদ্ধার্থ বলেন, ‘বিবাহিত সম্পর্কে পরস্পরের প্রতি বিশ্বাসভঙ্গ অথবা লিভ ইন সম্পর্ককে প্রগতিশীল সমাজের চিহ্ন হিসেবে দেখানো হচ্ছে৷ যুবসমাজও সহজেই এই ধারণার প্রতি আকর্ষিত হয়ে পড়ে, যদিও এর দীর্ঘমেয়াদী পরিণতির কথা তারা ভাবে না৷’
যে মামলার রায় দিতে গিয়ে বিচারপতি এই সমস্ত মন্তব্য করেন সেখানে এক যুবকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগ ওঠে৷ এ বছরের এপ্রিল মাসে ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়৷ উত্তর সাহারানপুরের বাসিন্দা ১৯ বছরের তরুণী এই অভিযোগ করেন৷
ওই যুগল এক বছর ধরে একসঙ্গে ছিলেন৷ এর পর ওই তরুণী অন্তসত্ত্বা হয়ে পড়লে ওই যুবক তাঁকে বিয়ে করতে অস্বীকার করেন বলে অভিযোগ৷ এর পরেই পুলিশের দ্বারস্থ হন ওই তরুণী৷
