সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময়, বারাণসীর কমিশনার দীপক আগরওয়াল স্বীকার করেছেন যে ইভিএম সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রোটোকলের ত্রুটি ছিল। তবে, তিনি এমনও দাবি করেছেন, ওই ইভিএমগুলি ছিল শুধু প্রশিক্ষণের জন্য। তিনি বলেন, "আপনারা যদি ইভিএম নিয়ে যাওয়ার প্রোটোকলের কথা বলেন, তাহলে ত্রুটি যে ছিল, আমি তা মেনে নিচ্ছি। তবে আমি আপনাকে গ্যারান্টি দিতে পারি, ভোটদানে ব্যবহৃত মেশিন এগুলি ছিল না। গণনা কেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা, নিরাপত্তারক্ষী এবং রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা ছিলেন।'' তিনি আরও বলেন, "রাজনৈতিক দলের কর্মীরা এমনকী গণনা কেন্দ্রের বাইরে বসে নজর রাখতে পারেন।"
advertisement
সমাজবাদী পার্টি টুইটারে বারাণসীর কমিশনারের মন্তব্যটি শেয়ার করেছে এবং তাঁদের অভিযোগ মান্যতা পেল বলেও দাবি করেছে। ট্যুইটারে তাঁরা লিখেছে, "বিভিন্ন জেলা থেকে ইভিএম কারচুপির তথ্য সামনে আসছে। কার নির্দেশে এমন ঘটছে? অফিসাররা কি মুখ্যমন্ত্রীর (যোগী আদিত্যনাথ) অফিসের চাপে আছেন? নির্বাচন কমিশনকে অবশ্যই স্পষ্ট করতে হবে এই বিষয়টি।" ওই ট্যুইটে নির্বাচন কমিশনকেও ট্যাগ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: 'ওঁরাই ঠিক করুন, কী করবেন', স্পষ্ট বার্তা দিলীপ ঘোষের! তুমুল আলোড়ন বিজেপি-তে
নির্বাচনের ফল (Uttar Pradesh Election) ঘোষণার আগেই ইভিএম কারচুপির অভিযোগ তুললেন সমাজবাদী পার্টি প্রধান অখিলেশ যাদব। মঙ্গলবার তিনি অভিযোগ করেছেন, বারাণসীতে সমাজবাদী পার্টির জোট সঙ্গী এসবিএসপি-এর সদস্যরা একটি ইভিএম ভর্তি গাড়ি আটক করেছেন। যদিও তার পরপরই নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়, এই ইভিএম গুলির সঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের কোনও যোগ নেই, ওগুলি প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহার করা হয়।
আরও পড়ুন: সাতসকালে দরজার সামনে হঠাৎ ফোঁস-ফোঁস শব্দ, যা দেখা গেল, হাড়হিম দৃশ্য ধূপগুড়িতে!
যদিও অখিলেশের মন্তব্যের পর সমাজবাদী পার্টিকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। উত্তরপ্রদেশের উপ-মুখ্যমন্ত্রী কেশবপ্রসাদ মৌর্যের কটাক্ষ, ফল ঘোষণার আগেই হেরে যাওয়ার গন্ধ পেয়ে গিয়েছে সমাজবাদী পার্টি। সেই কারণেই আগে থেকে দোষ চাপাতে শুরু করেছে ইভিএম-এর উপর।