সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস ট্যুইট করে জানিয়েছে, “প্রধানমন্ত্রী মোদি বলছেন আমরা ‘অমৃত কালে’ রয়েছি। তিনি আমাদের বলছেন আগামী ২৫ বছর খুব গুরুত্বপূর্ণ। সহমত! কিন্তু মাননীয় মোদিজি, এখনকার অবস্থা নিয়ে কী বলবেন? ভবিষ্যতের পরিকল্পনায় লাফ দেওয়ার আগে বর্তমানের সমস্যাগুলোর মোকাবিলা করা কি ভালো নয়? দেশ আপনার উত্তরের অপেক্ষায় রয়েছে।”
আরও পড়ুন- GAIL Recruitment 2022: নন-একজিকিউটিভ পদে সরকারি সংস্থায় কাজের সুবর্ণ সুযোগ
advertisement
বিজেপি মুখপাত্রের অশালীন মন্তব্যের কারণে দেশকে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়েছিল এমন উদাহরণের তালিকাকে তুলে ধরে, সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর নীরবতা নিয়ে তাঁকে প্রশ্নবাণে বিদ্ধ করেছে। বিজেপির মুখপাত্র নুপূর শর্মার সাম্প্রদায়িক মন্তব্যের জন্য ভারত সরকারকে বিশ্বের কাছে ক্ষমা চাইতে হয়েছিল।
একইভাবে, কেন মোদির ভারতে দলিত এবং সংখ্যালঘুরা বারবার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করেছে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস। সরকার গতবছর সংসদে জানিয়েছিল, ২০১৮ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে দলিতদের বিরুদ্ধে অপরাধের অধীনে প্রায় ১৩৯,০৪৫ টি মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে যেখানে শুধুমাত্র গত বছরই ৫০,২৯১ টি এই ধরনের অপরাধের রিপোর্ট করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- রাজ্যে কতদিন টিকবে তৃণমূল, দিঘায় তিরঙ্গা যাত্রা থেকে 'ডেডলাইন' জানালেন শুভেন্দু
গত কয়েক বছরে দলিতদের বিরুদ্ধে সর্বাধিক অপরাধের মামলা নথিভুক্ত হয়েছে বিজেপি-শাসিত উত্তরপ্রদেশে (৩৬,৪৬৭)। যে রাজ্যগুলি দলিতদের বিরুদ্ধে সবচেয়ে কম অপরাধের রিপোর্ট করেছে তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ অন্যতম। এখানে গত তিন বছরে মাত্র ৩৭৩ টি মামলা হয়েছে। “যখন বিজেপি নেতারা নিজেদের সংকীর্ণ রাজনৈতিক লক্ষ্যের জন্য আমাদের সমৃদ্ধ ইতিহাসকে বিকৃত করে চলেছেন,” তখনও কেন প্রধানমন্ত্রীর একটি শব্দও খরচ করছেন না প্রশ্ন তুলেছে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস।
তৃণমূল আরও জানিয়েছে, বাবরি মসজিদ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর, হিন্দু ডানপন্থী দলগুলি ইতিমধ্যেই বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদ এবং মথুরার শাহি ঈদগাহ মসজিদে ‘ঘর ওয়াপসির’ পরিকল্পনা শুরু করেছে। “অভি তো সিরফ ঝাঁকি হ্যায়, কাশী মথুরা বাকি হ্যায়”-এর মতো স্লোগানগুলির নিন্দা করা উচিত ছিল ক্ষমতাসীন বিজেপির, কিন্তু যথারীতি প্রধানমন্ত্রী নীরব।