মূলত মধ্যপ্রাচ্যের শহরগুলিতে যাতায়াতের জন্য এয়ার ইন্ডিয়া এবং এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের একাধিক বিমান রয়েছে ৷ বিমান সংস্থার তরফে একটি বিবৃতি বলা হয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলিতে উত্তপ্ত পরিস্থিতির জন্য ইরাক, ইরান ও ইজরায়েলের আকাশসীমার উপর দিয়ে চলাচল না-করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া ৷ কাতারও উত্তেজনার কারণে বন্ধ করে দিয়েছে তাদের আকাশসীমা। আগামী কয়েকদিন পারস্য উপসাগরের উপর দিয়ে নির্দিষ্ট আকাশসীমা ব্যবহার করা হবে না ৷ পরিবর্তে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, কাতার, ওমান এবং কুয়েত-সহ বিভিন্ন গন্তব্যস্থলে যাতাযাতের জন্য বিকল্প পথ বেছে নেওয়া হবে। তবে এর ফলে গন্তব্যে পৌঁছতে বেশ কিছুটা বেশি সময় লাগতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
advertisement
মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলির পাশাপাশি ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকা থেকে যাতায়াতে বেশ কিছু নির্দিষ্ট বিমানের সময়সীমা বৃদ্ধি পেতে পারে বলে অনুমান। অন্যদিকে সূত্রের খবর, যাত্রীসংখ্যা কম হওয়ার কারণে মধ্যপ্রাচ্যের শহরগুলিতে বিমান চলাচল বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস৷ যাত্রীদের আগে থেকে এই বিষয়ে জানিয়েও দেওয়া হয়েছে বলে খবর ৷ যদিও, সংস্থার তরফে এই বিষয়ে সরকারিভাবে কোনও তথ্য প্রকাশ করা হয়নি ৷
একাধিক উড়ান সংস্থা থেকে প্রাপ্ত পরিসংখ্যান বলছে, আহমেদাবাদের ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার পর এয়ার ইন্ডিয়ার আন্তর্জাতিক এবং ডোমেস্টিক বিমানে যাত্রীসংখ্যা আগের তুলনায় বেশ কিছুটা কমে গিয়েছে ৷ বিমান সংস্থার টিকিট বুকিং প্রায় ২০ শতাংশ কমে গিয়েছে ৷ যদিও, দুর্ঘটনার জেরে গড় ভাড়া ৮ থেকে ১৫ শতাংশ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে বিমান সংস্থাটির তরফে ৷ মূলত, মধ্যপ্রাচ্যের দুবাই, দোহা, রিয়াধ এবং জেড্ডায় এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান চলাচল করে ৷ সংস্থা সূত্রে খবর, এই বিষয়ে নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের সঙ্গে নিয়মিত পরামর্শ করা হচ্ছে ৷ পরিস্থিতির উপর নজরও রাখা হচ্ছে ৷ শুধু এয়ার ইন্ডিয়া নয়, একাধিক সংস্থা জানিয়ে দিয়েছে আপাতত উড়ান সূচিতে তাদের বদল আসবে।