মাসাই যুবকের প্রতি গভীর প্রেমের টানে ত্যাগ করেছিলেন স্বামী-সংসার, তিরিশ বছর পরেও নিজের সিদ্ধান্তের জন্য হাত কামড়াচ্ছেন ব্রিটিশ মহিলা
- Published by:Siddhartha Sarkar
Last Updated:
She Left Her Husband, Kids For Masai Tribesman After Holiday Fling: তবে প্রায় ৩০ বছর পর অবসান ঘটেছে সেই গভীর উন্মাদনায় ভরা প্রেমের সম্পর্কের। আর আজ ওই মহিলা স্বীকার করে নিয়েছেন, সেটাই ছিল তাঁর জীবনের সবথেকে বড় ভুল।
ছুটি কাটাতে গিয়ে পড়েছিলেন প্রেমে। তবে যে-সে প্রেম নয়, সেই প্রেম ছিল একেবারে রূপকথার মতো। তবে কে জানতো, অবসর বিনোদনের এই প্রেমই রীতিমতো ব্রিটিশ মহিলার গলার কাঁটা হয়ে উঠবে। কয়েক দশক আগে কেনিয়ায় বেড়াতে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে গিয়ে এক আদিবাসী পুরুষের প্রেমেও পড়ে যান। সেই প্রেম এতটাই গভীর হয়ে উঠেছিল যে, নিজের স্বামী-সন্তানদের ছেড়ে ওই আদিবাসী পুরুষের সঙ্গে ঘর বাঁধতে যেতেও দু’বার ভাবেননি ওই ব্রিটিশ মহিলা। তবে প্রায় ৩০ বছর পর অবসান ঘটেছে সেই গভীর উন্মাদনায় ভরা প্রেমের সম্পর্কের। আর আজ ওই মহিলা স্বীকার করে নিয়েছেন, সেটাই ছিল তাঁর জীবনের সবথেকে বড় ভুল। (Photo Courtesy: Mail Online)
advertisement
দ্য মিরর-এর প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে যে, ১৯৯৪ সালে চেরিল থমাসগুড ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন কেনিয়াতে। সেই সময় তিনি ছিলেন ৩৪ বছরের যুবতী। সেখানেই মাসাই উপজাতির যুবক ড্যানিয়েল লেকিমেঞ্চোর প্রেমে পড়ে যান চেরিল। কিন্তু অবসরযাপনের সেই প্রেমই যেন তিক্ত অনুশোচনার কারণ হয়ে উঠেছে। এখন চার সন্তানের জননী চেরিল। তিনি নিজেই সেই কাহিনিই ভাগ করে নিলেন। এমনকী ছুটি কাটাতে গিয়ে এহেন প্রেমযাপন করতে এখন সকলকে সাবধান করছেন চেরিল। (Photo Courtesy: Mail Online)
advertisement
সেই সময় ইংল্যান্ডের আইল অফ ওয়াইটে একটা আরামের জীবন কাটাচ্ছিলেন চেরিল। তবে শৈশবের যন্ত্রণা এবং বিয়ে ভাঙার কষ্টের সঙ্গে লড়াই চালাচ্ছিলেন। গির্জার এক বন্ধুর পরামর্শেই তিনি কেরিয়ার মোম্বাসা বাম্বুরি বিচ হোটেলে বেড়াতে গিয়েছিলেন। সেখানেই ড্যানিয়েলের সঙ্গে প্রথম আলাপ তাঁর। আসলে ড্যানিয়েল ছিলেন ট্র্যাডিশনাল ডান্স ট্রুপের পারফর্মার। (Photo Courtesy: Mail Online)
advertisement
ড্যানিয়েলের সারল্য এবং বস্তুগত জীবনের প্রতি নির্মোহের কারণেই তাঁর দিকে আরও বেশি করে আকৃষ্ট হন চেরিল। তাঁর জীবনে ওই মাসাই-যুবক এতটাই গভীর ছাপ রেখেছিলেন যে, ২-৩ সপ্তাহের ছুটির কাটিয়ে ইংল্যান্ডে ফিরে যাওয়ার পর নিজের স্বামী মাইক ম্যাসন এবং সন্তানদের ত্যাগ করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন। এরপর আবার কেনিয়ায় ফেরেন চেরিল। সেখানে ড্যানিয়েলের আদিবাসী গ্রামেই তাঁর সঙ্গে বসবাস করতে শুরু করেন। সেই সময় তাঁকে ছাগলের ছালের উপর ঘুমোতে হত। খোলা জায়গায় আগুন জ্বালিয়ে রান্নাও করতে হয়েছে চেরিলকে। শুধু তা-ই নয়, বাঁধাকপি এবং গরুর রক্তের মতো মাসাইদের প্রচলিত খাবার খেয়ে দিনযাপন করতেন তিনি।
advertisement
advertisement
advertisement
এই প্রসঙ্গে চেরিলের বক্তব্য, “আমার নিজেকে যেন খাবারের টিকিট মনে হত। প্রচুর অনুশোচনা রয়েছে। বিশেষ করে সন্তানদের উপর প্রভাব নিয়ে তো বটেই!” ১৯৯৯ সালে অবশেষে ভেঙে যায় চেরিল-ড্যানিয়েলের সম্পর্ক। যদিও সমাজকে ভুল প্রমাণ করার বিয়ে টিকিয়ে রাখতে চেয়েছিলেন চেরিল। তিনি বলেন যে, “আমার সবথেকে বড় অনুশোচনা হল, আমার সন্তানরা স্থিতিশীল বাবা হিসেবে ড্যানিয়েলকে গ্রহণ করতে পারেনি। ওদের অনেক কিছু হারাতে হয়েছে।” তিনটে বিয়ের পর আর বিয়ের পথে হাঁটতে চান না চেরিল। চার সন্তানকে নিয়েই কাটঠে তাঁর জীবন। অন্যদিকে ড্যানিয়েল আইল অফ ওয়াইটেই রয়ে গিয়েছেন। তিনি কাজ করেন একটি সুপারমার্কেটে।