সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ সড়গড় বায়ুসেনার গ্রুপ ক্যাপ্টেন অরুণ মারওয়া। সুন্দরী মহিলাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করা ছিল ভারি পছন্দের বিষয়। নিয়মিত ছবি, ভিডিও আপলোড করা ছিল নেশার মতো। কিন্তু সেই নেশাই যে কাল হবে তা কল্পনাও করেনি সে। সুন্দরীদের সঙ্গে সেক্স চ্যাটের প্রলোভনে পা দিয়ে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত একাধিক তথ্য ফেসবুক বন্ধু আদতে আইএসআই এজেন্টদের কাছে পাচার করে দেয় মারওয়া। তার জেরেই গ্রেফতার হতে হল তাকে।
advertisement
দিল্লি পুলিশের দাবি, গোপনীয় তথ্য হাতাতে আইএসআই-এর এই কৌশল নতুন কিছু নয়। একথা অজানা থাকার কথা নয় মারওয়ারও। কিন্তু কীভাবে এই ফাঁদে পড়ল অরুণ মারওয়া। জানা যাচ্ছে,
সেক্স চ্যাটের ফাঁদ
- ঘটনার সূত্রপাত ৬ মাস আগে
- কিরণ রানধাওয়া ও মহিমা প্যাটেল নামে দু’জনের কাছ থেকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পায় মারওয়া
- কোনও দ্বিধা না করেই তা অ্যাকসেপ্ট করে সে
- শুরু শুরুতে কমেন্ট এবং লাইকেই চ্যাট সীমাবদ্ধ ছিল
- পরে প্রক্সি সার্ভার থেকে বন্ধুদের পাঠানো রগরগে ছবি ও ভিডিওয় লালায়িত অরুণও পালটা ছবি-ভিডিও পোস্ট করে
- অরুণের চ্যাট সবই সেভ করত দুই ফেসবুক বন্ধু
- মাস তিনেক আগে মারওয়াকে ব্ল্যাকমেল করে ওই দুই বন্ধু
- কর্তৃপক্ষকে কিছু না জানিয়ে ভয়ে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত গোপন তথ্য দিতে থাকে মারওয়া
পুলিশ জানিয়েছে, বায়ুসেনার পক্ষ থেকেও মারওয়ার ওপর নজর রাখা হচ্ছিল। একত্রিশে জানুয়ারি তাকে আটক করা হয়। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর বৃহস্পতিবার মারওয়াকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, মারওয়ার কাছ থেকে সাইবার ওয়ারফেয়ার, স্পেস এবং স্পেশাল অপারেশন সংক্রান্ত কিছু তথ্য হাতিয়ে নিয়েছে ওই আইএসআই এজেন্টরা।