আহমেদাবাদে ঘটে যাওয়া এই দুর্ঘটনার ধাক্কা লেগেছে উদয়পুরেও। দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানে ছিলেন উদয়পুরের মার্বেল ব্যবসায়ী পিঙ্কু মোদির ছেলে ও মেয়ে — শুভ মোদি ও শগুন মোদি। এছাড়াও, রুন্ডেডা গ্রামের বাসিন্দা বর্ধী চাঁদ মেনারিয়া এবং প্রকাশ মেনারিয়াও এই ফ্লাইটে ছিলেন। তারা সবাই লন্ডনের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: কখনও বিস্ফোরণ, কখনও পাহাড়ে আছাড়! এয়ার ইন্ডিয়ার ‘কালো’ ইতিহাস জানলে শিউরে উঠবেন…
advertisement
দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পর পিঙ্কু মোদির পরিবার তড়িঘড়ি আহমেদাবাদ রওনা দেন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ভজনলাল শর্মাও সমস্ত কর্মসূচি বাতিল করে উদয়পুরের জেলা কালেক্টরের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং যাত্রীদের বিষয়ে খোঁজ নেন।
শুভ মোদি (২৪) ও শগুন মোদি (২২) হলেন উদয়পুরের নামী মার্বেল ব্যবসায়ী পিঙ্কু মোদির ছেলে ও মেয়ে। দুজনেই এমবিএ সম্পন্ন করেছিলেন এবং এখন বাবার ব্যবসায় সহায়তা করছিলেন। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, তারা ঘুরতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে লন্ডন যাচ্ছিলেন এবং সেখানে তাদের এক বন্ধুর বাসায় থাকার পরিকল্পনা ছিল। দুর্ঘটনার খবরে পিঙ্কু মোদির পরিবার আহমেদাবাদের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। শুভ ও শগুনের নাম যাত্রী তালিকায় ৯৮ ও ৯৯ নম্বরে ছিল। ইতিমধ্যেই স্থানীয় বাসিন্দারা শোক জানাতে তাদের বাড়িতে ভিড় করছেন।
একই বিমানে ছিলেন রুন্ডেডা গ্রামের বাসিন্দা বর্ধী চাঁদ মেনারিয়া ও প্রকাশ মেনারিয়া। সূত্র জানাচ্ছে, তারা দুজনেই লন্ডনে শেফ হিসেবে কাজ করতেন এবং কাজ শেষে ভারতে ফিরে আসছিলেন। যাত্রী তালিকায় তাঁদের নাম ছিল ৯০ ও ৯১ নম্বরে।
জানা গিয়েছে, এয়ার ইন্ডিয়ার AI171 ফ্লাইটটি লন্ডনের গ্যাটউইক বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করার কয়েক মিনিটের মধ্যেই বৃহস্পতিবার দুপুর প্রায় ১:৪০-এ আহমেদাবাদের সরদার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে ভেঙে পড়ে। বিমানটিতে মোট ২৪২ জন ছিলেন, যার মধ্যে ১৭০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।