আরও পড়ুন- "খুশি হতেন জয়ললিতা": দক্ষিণেও দ্রৌপদী মুর্মুকে সমর্থন AIADMK সহ বিজেপির সঙ্গীদের
উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বে এবং একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বে দু’টি শিবসেনা গোষ্ঠী বিধায়কদের তাঁদের নিজ নিজ স্পিকার প্রার্থীদের ভোট দিতে হুইপ জারি করেছিল। কংগ্রেসের নানা পাটোলে দলের রাজ্য শাখার সভাপতি হওয়ার জন্য ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে পদত্যাগ করার পর থেকেই বিধানসভার স্পিকারের পদটি শূন্য রয়েছে। ভারপ্রাপ্ত স্পিকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন ডেপুটি স্পিকার নরহরি জিরওয়াল।
advertisement
রাহুল নারভেকার মুম্বইয়ের কোলাবা কেন্দ্র থেকে বিধানসভায় নির্বাচিত হয়েছিলেন। অতীতে শিবসেনা ও জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। বরিষ্ঠ এনসিপি নেতা রামরাজে নায়েক-নিম্বলকরের জামাতা রাহুল নারভেকার ২০১৪ সালে দল ছাড়ার আগে শিবসেনার যুব শাখার মুখপাত্র ছিলেন। শিবসেনার দায়িত্ব পালনের পর তিনি শরদ পাওয়ারের জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টিতে চলে যান।
২০১৯ সালের মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন রাহুল। কংগ্রেসের অশোক জগতাপকে হারিয়ে কোলাবা থেকে বিধানসভা নির্বাচনে জিতেছিলেন তিনি।
রাজ্যের সাম্প্রতিক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিধানসভার স্পিকার পদের নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, স্পিকার সদ্য শপথ নেওয়া মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে সহ ১৬ বিদ্রোহী বিধায়কের বিরুদ্ধে ‘ডিসকোয়ালিফিকেশন’ প্রক্রিয়া খারিজ করতে পারেন।
পাশাপাশি, স্পিকার যদি একনাথ শিন্ডের দলটিকেই ‘আসল শিবসেনা’ হিসাবে স্বীকৃতি দেন, তবে এই দলটিকে অন্য কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে মেলার প্রয়োজন হবে না। একনাথ শিন্ডে দাবি করেছেন তিনিই শিবসেনার বিধানসভা দলের নেতা কারণ তাঁর কাছে দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে।
আরও পড়ুন- প্রধানমন্ত্রীর ফোন পেয়েই উপমুখ্যমন্ত্রী হলেন দেবেন্দ্র ফড়নবিস: বিজেপির সূত্র
সোমবার বিধানসভায় শক্তি পরীক্ষার মুখোমুখি হবে একনাথ শিন্ডের সরকার। শুক্রবার, শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে "’দলবিরোধী কার্যকলাপে’ জড়িত থাকার দলীয় নেতার পদ থেকে একনাথ শিন্ডেকে সরিয়ে দিয়েছেন। শিন্ডে গোষ্ঠী অবশ্য জানিয়েছে এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করবেন তাঁরা কারণ তাঁরাই এখন ‘আসল’ সেনা।