সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার অধীনে উত্তরপ্রদেশের আগ্রা জেলা নগর উন্নয়ন সংস্থা বা ডিইউডিএ-র তরফে সোশ্যাল অডিট করানো হয়। সুবিধাভোগীদের ডেকে গণশুনানির আয়োজন করা হয়।
লখনউ থেকে আসা প্রতিনিধি দলের সামনে উপভোক্তারা তাঁদের অভিজ্ঞতার কথা প্রকাশ করেন। প্রকল্পের স্বচ্ছতা নিয়েও আলোচনা হয়।
advertisement
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (শহরে)-র আওতায় আগ্রা জেলায় ৪০ হাজারেরও বেশি মানুষ মাথা গোঁজার আস্তানা পেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। আগ্রা ডিইউডিএ-র প্রকল্প আধিকারিক মুনীশ রাজ জানিয়েছেন, আগ্রা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার আওতায় যে সমস্ত সুবিধাভোগী কিস্তির টাকা পেয়েছেন এবং যাঁদের বাড়ির কাজ শেষ হয়েছে তাঁদেরই অভিজ্ঞতা জানতে সোশ্যাল অডিট করা হয়েছে। লখনউ থেকে আসা প্রতিনিধি দল তাঁদের বাড়ি তৈরির প্রয়োজনীয় খরচ এবং প্রাপ্ত কিস্তি সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়েছে।
দালাল থেকে সাবধান—
মুনীশ রাজ বলেন, ‘প্রকল্পের সুবিধা পেতে সরাসরি আগ্রা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনে ডিইউডিএ অফিসে যোগাযোগ করতে হবে। হেল্পলাইন নম্বরও রয়েছে। সরাসরি সেই নম্বরে কল করা যেতে পারেন। অথবা অফিসে এসে যোগাযোগ করতে পারেন।’ তিনি বার বার বলেন, দালালের খপ্পরে পড়া যাবে না।
যোগ্যতা মান—
আবেদনকারীকে ভারতের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে। শুধুমাত্র দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী ও নিম্ন আয় গোষ্ঠীর মানুষই আবেদন করার যোগ্য। আবেদনকারীর বয়স ১৮ বছর বা তার বেশি হতে হবে। নিজের বাড়ি থাকা চলবে না। আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া বা নিম্ন আয়ের পরিবারগুলির ক্ষেত্রে কোনও সদস্য চাকরিরত হলেও সাহায্য মিলবে না।
প্রয়োজনীয় নথি—
আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, প্যান কার্ড, জাতিগত শংসাপত্র, আয়ের শংসাপত্র, বয়সের শংসাপত্র, রেশন কার্ড, মোবাইল নম্বর, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিবরণ, পাসপোর্ট সাইজ ফটোগ্রাফ লাগবে আবেদনের সময়।
আগ্রহী ও যোগ্যরা অফিশিয়াল ওয়েবসাইটের হোম পেজে গিয়ে আবেদন করতে পারবেন।
