আজ মঙ্গলবার রাঁচি থেকে বেশ কয়েকঘন্টা দূরের পাকুড়ে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসছিলেন আশি বছরবয়সী সমাজকর্মী স্বামী অগ্নিবেশ। তীর ও ধনুক নিয়ে ওই অঞ্চলের আদিবাসীরা তাঁর যাওয়ার পথে দাঁড়িয়েছিল। হোটেলে প্রবেশ করার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই একটি দল তাঁর ওপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় আরএসএস এবং ভিএইচপির কর্মী সমর্থকরাও যুক্ত ছিল বলে অভিযোগ।
advertisement
এই ঘটনার পর স্বামী অগ্নিবেশ বলেন, “আমি সব ধরনের হিংসারই বিরোধী। শান্তিপ্রিয় মানুষ হিসাবেই আমাকে চেনে এই দেশ। আমি জানি না, কেন আমার ওপর আক্রমণ হল”, এনডিটিভিকে বলেন স্বামী অগ্নিবেশ। তিনি আরও বলেন, "আমি ওদের ালোচনার প্রস্তাব দিয়েছিলাম। কিন্তু, আমার প্রস্তাব মানতে তারা রাজি হল না। আমি আমার আদিবাসী বন্ধুদের সঙ্গে সম্মেলনে যাচ্ছিলাম। সেই সময়েই ওরা আমকে আক্রমণ করে। একটা কথা না বলেই মারধর করতে আরম্ভ করে আমাকে। কিল, চড়, ঘুসি মেরে রাস্তা দিয়ে টানতে টানতে নিয়ে যায়। কদর্য ভাষা ব্যবহার করছিল তারা”।
তিনি আরও অভিযোগ করেন যে, তাঁকে আক্রমণ করার সময় ঘটনাস্থলে কোনও পুলিশকর্মী ছিলেন না৷ দীর্ঘ প্রস্তুতি নিয়েই এসেছিল আক্রমণকারীরা বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস পুলিশকে ঘটনাটির তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। ওই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ২০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। গুরুতর আহত অবস্থায় স্বামী অগ্নিবেশকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ৷