তিনি এদিনের অনুষ্ঠানে আরও বলেছেন, "মানবধিকার লঙ্ঘন যাঁরা সহ্য করেন, তাঁরাও সমান অপরাধী। যেখানে শাসকের আইন নয়, আইনের শাসন চলে সেখানেই মানবধিকার রক্ষিত হয়।" তাঁর মতে, "স্বাধীনতার সবচেয়ে ভাল সংজ্ঞা হল, সর্বত্র মানবধিকার রক্ষা এবং সংবিধানের সারমর্ম এবং সমস্ত ধর্মের মূলসত্ত্বাই হল, সবার ঊর্দ্ধে মানবধিকার রক্ষা করা।" তিনি আরও জানান, "রাজনৈতিক ঘনিষ্ঠতা, বংশপরিচয়, জাতি বা ধর্মের নিরিখে দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে রক্ষা করা যায় না। একটি গণতান্ত্রিক সমাজ, যেখানে আইনের শাসন চলে।"
advertisement
আরও পড়ুন: হস্তক্ষেপ করল না সুপ্রিম কোর্ট, মুক্তি চেয়েও স্বস্তি পেলেন না মানিক
অনুষ্ঠানে জাতীয় মানবধিকার কমিশনের চেয়াম্যান প্রাক্তন বিচারপতি অরুণ মিশ্র জানান, সংরক্ষণের সুফল একবারে নীচের তলা পর্যন্ত পৌঁছায়নি। সমাজের সার্বিক অগ্রগতির জন্য সংরক্ষণের সুবিধা নীচু তলা পর্যন্ত পৌঁছানো দরকার বলে মনে করেন তিনি। সমাজের প্রান্তিক শ্রেণির মানুষের উন্নতির জন্য আর্থ-সামাজিক এবং রাজনৈতিকভাবে অনেক কাজ করা হয়েছে। তাঁর মতে, লিঙ্গ বৈষম্য এবং সবার মধ্যে সাম্যতা প্রয়োজন। তারজন্য অভিন্ন দেওয়ানি আনার পক্ষে সওয়াল করেন মানবধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান। ভারতীয় সংস্কৃতির প্রসঙ্গ তুলে ধরে তিনি বলেন, "আমাদের সংস্কৃতিতে অধিকার এবং কর্তব্য একসঙ্গে চলে। যার উল্লেখ রয়েছে বৌদ্ধ, জৈন, শিখ, খ্রিস্টান এবং ইসলাম ধর্মের মধ্যে। প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করা কমিশনের অতীত কাজ স্মরণ করার একটি মহৎ সুযোগ৷"
