আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ সুস্মিতা দেব, অভিষেকের সফরের আগে সরগরম ত্রিপুরা
উল্লেখ্য, গতবছর ২৬ নভেম্বর বিতর্কিত তিন কেন্দ্রীয় কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে দিল্লি-উত্তরপ্রদেশ ও দিল্লি-হরিয়ানার সীমানায় কৃষকদের অবস্থান বিক্ষোভ শুরু হয়। তারপর থেকেই গাজিপুর, টিকরি ও সিঙ্ঘু সীমানা-সংলগ্ন সড়কপথ ব্যারিকেড দিয়ে বন্ধ করে রেখেছিল পুলিশ। যার জেরে প্রায় একবছর ধরে চূড়ান্ত নাজেহাল হতে হয়েছে আম জনতাকে। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে অবরুদ্ধ সড়কগুলি খুলে দেওয়ার জন্য বন্দোবস্ত করার নির্দেশ দিয়েছে। আন্দোলনকারী কৃষকরা আদালতে জানিয়েছেন তাঁরা কোন সড়ক অবরোধ করেননি। বরং পুলিশ সড়ক বন্ধ করে রেখেছে।
advertisement
আরও পড়ুন: প্রশিক্ষণ ছাড়া আর ট্রেকিংয়ে গিয়ে মৃত্যু নয়, আয়কর আবাসনে তৈরি হল ইকো অ্যাডভেঞ্চার ক্যাম্প
এর পরেই শীর্ষ আদালত অবরুদ্ধ শহর গুলির সীমানা খুলে দেওয়ার নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকারকে।আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী বিশাল পুলিশবাহিনী বৃহস্পতিবার দিল্লি ও হরিয়ানা সীমানায় টিকরি থেকে ব্যারিকেড, কংক্রিটের দেয়াল কাটা তারের বেড়া এবং লোহার গজাল সরানোর কাজ শুরু করে। শুক্রবার সকাল থেকে গাজিপুরে রাস্তার অবরোধ তুলে দেওয়ার কাজ শুরু করে পুলিশ। অশান্তির আশঙ্কায় মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশবাহিনী। এলাকায় উপস্থিত রয়েছেন দিল্লি পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।সম্প্রতি সুপ্রিমকোর্ট এক নির্দেশে জানিয়েছে, কৃষকদের আন্দোলন করবার অধিকার আছে। কিন্তু, তাই বলে কখনওই অনির্দিষ্টকালের জন্য রাস্তা আটকে রাখা যেতে পারে না।
আরও পড়ুন: বড় খবর! স্কুল খুলছে ১৬ তারিখ, কিন্তু বদলে গেল ক্লাসের সময়সীমা! শিক্ষকরা যাবেন কবে থেকে?
এদিন ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের উত্তরপ্রদেশ শাখার সভাপতি রাজবীর সিং জাদাউন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, "আমরা কোথাও কোনও রাস্তা বন্ধ করে রাখিনি। বরং দিল্লি পুলিশের পক্ষ থেকে রাস্তায় ব্যারিকেড করে রাখা হয়েছে। এখন তারাই রাস্তা থেকে ব্যারিকেড সরিয়ে নিচ্ছে। ভালো কথা। রাস্তা খুলে দেওয়া হলেই আমরা রাজধানী দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা হব। রাজধানীতে যাওয়া আমাদের প্রথম অধিকার।প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় সরকারের তিনি কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে গত ১১ মাস ধরে দিল্লির ৩টি সীমানায় অবস্থান-বিক্ষোভ করছেন কয়েক হাজার কৃষক। প্রায় ৩০টি সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার নেতৃত্বে এই আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের কৃষক। আন্দোলনকারী কৃষকদের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, কেন্দ্রীয় তিনটি কৃষি আইন বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালু থাকবে।