পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত কিশোর কানপুরের এক বিশিষ্ট চিকিৎসকের ছেলে। তাকে জুভেনাইল হোমে পাঠানো হয়েছে এবং ছ-মাসের পুরনো মামলা রি-অপেন করা হয়েছে। দুটি দুর্ঘটনার জন্য তার বাবার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার ওই কিশোর গাড়ি চালাচ্ছিল। সেই সময় চারজনকে ধাক্কা মারে, যারা আহত হয়। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসার পরে যদিও ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ১৫ বছরের ওই কিশোরের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৭৯ ও ৩৩৮ (বেপরোয়া গাড়ি চালানো) ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ হোমস্টে ঘিরে পাহাড়-ফুলের মেলা, গরমের ছুটিতে ঘুরে আসুন একেবারে অচেনা পাহাড়ি এই গ্রামে, মুগ্ধ হবেন
কানপুর সিটি কমিশনার অখিল কুমার বলেন, গত বছর অক্টোবরে আরও সাংঘাতিক কাণ্ড ঘটয়েছিল এই কিশোর। সেই সময় দুই পথচারীর মৃত্যু হয়। মারাত্মক দুর্ঘটনার সঙ্গে জড়িত হওয়া সত্ত্বেও কিশোরকে ফের কীভাবে গাড়ি চালাতে দিলেন তার চিকিৎসক বাবা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। পরিবারের সমালোচনায় শামিল হয়েছেন অনেকেই। পুলিশ জানিয়েছে, ২০২৩ সালের অক্টোবরে যখন দুর্ঘটনা ঘটে, তখন সে গঙ্গা ব্যারেজে যাচ্ছিল। গাড়ির গতি অত্যধিক বেশি থাকায় বেসামাল হয়ে দুই পথচারী সাগর নিষাদ এবং আশিস রাম চরণকে ধাক্কা মারে, মৃত্যু হয় তাঁদের।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (আইনশৃঙ্খলা) হরিশ চন্দ্র জানিয়েছেন, ওই কিশোরের বিরুদ্ধে এর আগে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪ এ ধারায় (অনিচ্ছাকৃত খুনের মতো অবহেলার কারণে কোনও ব্যক্তির মৃত্যু ঘটানো) অভিযোগ দায়ের হয়েছিল, পরে ধারা পরিবর্তন করে ৩০৪ (অনিচ্ছাকৃত হত্যা) করা হয়।
প্রসঙ্গত, রবিবার পুণেতে ১৭ বছর বয়সী কিশোর পোর্শে গাড়ি নিয়ে ধাক্কা মারে একটি মোটরবাইকে। বেসামাল গাড়ির ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই ২৪ বছর বয়সী দুই ইঞ্জিনিয়রের মৃত্যু হয়। পুলিশ জানিয়েছে, দুর্ঘটনার সময় ওই কিশোর চূড়ান্ত মদ্যপ অবস্থায় ছিল। এই মামলায় ইতিমধ্যেই অভিযুক্তের বাবাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপ্রাপ্তবয়স্ককে মদ পরিবেশনের দায়ে বারের মালিক ও ম্যানেজারকেও গ্রেফতার হয়েছে।