করোনাভাইরাসের টিকা (Coronavirus Vaccine) নেওয়ার ক্ষেত্রে কিশোর কিশোরীদের (Teens) নিজেদের ইচ্ছাই চূড়ান্ত৷ কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ম অনুযায়ী এর জন্য লিখিত বা মৌখিক কোনওভাবেই অভিভাবকদের (Parents) সম্মতির প্রয়োজন নেই, আগেই জানিয়েছেন ডঃ সচিন দেশাই (Dr. Sachin Desai)৷ ফলে নির্বিঘ্নে টিকা দেওয়া যাবে বলেই আশা করা হচ্ছে৷
আরও পড়ুন: করোনা ভাইরাসের তৃতীয় ঢেউয়ে এই প্রথম সংক্রমণহীন হল ধারাভি বস্তি!
advertisement
স্কুল খুলেছে মুম্বইতে। প্রথম দিনে পড়ুয়াদের উপস্থিতির হার ছিল ৫০ শতাংশেরও কম। ফলে এ বিষয়টি স্পষ্ট এখনও অনলাইনে ক্লাস করার প্রবণতাই বেশি। যা খুব একটা সুখকর বিষয় নয়৷ ছত্তিশগড়ের শিক্ষার বার্ষিক প্রতিবেদন অনুসারে, প্রাক কোভিড পরিস্থিতিতে রাজ্যে প্রাথমিক শিক্ষার ফলাফলের উন্নতি হচ্ছিল, কিন্তু ২০২০ সালের মার্চ মাসের পর থেকে স্কুল বন্ধ, যা শেখার ক্ষেত্রে ভয়াবহ ক্ষতি (Learning loss) করছে৷ ২০১৮ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে শিশুদের মৌলিক বিকাশ কমছে৷ শিশুদের গাণিতিক মেধাও হ্রাস পেয়েছে। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সেই শিশুদের হার তাদের সংখ্যা ৬০ শতাংশের উপরে যারা একক-অঙ্কের সংখ্যাও চিনতে পারে না । তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত মাত্র ১০ শতাংশ শিশু যোগ-বিয়োগ শিখেছে। তবে ধীরে ধীরে যে পড়ুয়ার সংখ্যা বাড়বে সে ব্যাপারে আশ্বাস দিয়েছিলেন কর্তৃপক্ষ৷ যখনই পড়ুয়ারা বুঝবে যে আর অনলাইনে পরীক্ষা হবে না, তখনই তারা স্কুলে আসতে শুরু করবে৷ প্রাক প্রাথমিক স্তর থেকেই স্কুল খুলেছে মুম্বইয়ে। অবশ্য শিশুদের স্কুলে পাঠানো বাধ্যতামূলক নয় বলেই নির্দেশিকায় জানিয়েছিল মহারাষ্ট্র সরকার।
আরও পড়ুন: ৬১ হাজার কোটি টাকা দেনা! টাটার হাতে এয়ার ইন্ডিয়ার দায়িত্ব দেওয়ার আগে রফা করল কেন্দ্র
অজিত পাওয়ার জানিয়েছেন, বিদ্যালয় পুনরায় খোলার (School Reopening) আদেশ আজ জারি করা হবে। শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার জন্য মোবাইল ভ্যান স্কুলে পাঠানো হবে। যেসব শিশুদের টিকা দেওয়ার পরে বিশ্রাম বা চিকিৎসার প্রয়োজন তাদের জন্য স্কুলে একটি বিশেষ কক্ষ সংরক্ষিত থাকবে৷ পাশাপাশি এও জানান, প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য, স্কুলগুলি কেবল চার ঘণ্টা খোলা থাকবে। নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য পুরো সময়ই খোলা থাকবে স্কুল। সমীক্ষা বলছে, পুনের গ্রামীণ অংশে টিকাদানের ভাগ অনেকটাই বেশি আর এর বেশিরভাগই হয়েছে স্কুল প্রাঙ্গনে। তাই, স্কুল পুনরায় চালু করা এবং স্কুলে শিশুদের টিকা দিলে শহুরে এলাকায়ও টিকাদানের গতি বাড়বে বলে মনে করছেন পাওয়ার।