এখানেই শেষ নয়, পুলিশ আরও জানতে পেরেছে, যে ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে দু' বছর আগে শ্রদ্ধার সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল, সেই একই অ্যাপ ব্যবহার করে পেশায় চিকিৎসক ওই মহিলার সঙ্গে পরিচয় হয় আফতাবের৷ এর পরেই তাঁকে দিল্লির ফ্ল্যাটে ডাকে সে৷
আরও পড়ুন: পরিচারিকার সঙ্গে শারীরিক মিলনের সময় বৃদ্ধের মৃত্যু, দেহ লোপাটের দায়ে গ্রেফতার ৩
advertisement
আফতাবকে গ্রেফতারের পরই জেরায় এই ডেটিং অ্যাপের কথা জানতে পারে পুলিশ৷ এর পর তদন্তে ওই অ্যাপ কর্তৃপক্ষের সাহায্য চেয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে চিঠি দেওয়া হয়৷ ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে আফতাব কাদের সঙ্গে আলাপ জমিয়েছিল, তা জানতে চেয়েছিল পুলিশ৷ সেই তথ্য হাতে আসার পরই পেশায় চিকিৎসক ওই মহিলার পরিচয় জানতে পারে পুলিশ৷ জানা যায়, পেশায় তিনি একজন মনোবিদ৷
জেরায় আফতাবই পুলিশকে জানিয়েছিল, ওই মহিলাকে ফ্ল্যাটে ডেকে যখন সে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করেছে, তখন ফ্রিজে রাখা ছিল শ্রদ্ধার টুকরো টুকরো করা দেহ৷
ইতিমধ্যেই আফতাবের পলিগ্রাফ টেস্ট করা হয়েছে৷ তার নারকো অ্যানালিসিস টেস্টও করাবে পুলিশ৷ শুক্রবারই রোহিনির ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে তৃতীয় দফার পলিগ্রাফ টেস্টের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় আফতাবকে৷ আফতাবের বয়ানে কোনও অসঙ্গতি রয়েছে কি না, তা জানাই এই পরীক্ষার মূল উদ্দেশ্য৷ দু' তিন দিনের মধ্যেই এই পরীক্ষার রিপোর্ট তদন্তকারীদের হাতে চলে আসবে৷ আগামী সোমবার আফতাবের নারকো অ্যানালিসিস টেস্ট হওয়ার কথা৷
এত কিছুর পরেও অবশ্য এখনও শ্রদ্ধার দেহের খুলি উদ্ধার করতে পারেনি৷ যে অস্ত্র দিয়ে শ্রদ্ধাকে টুকরো টুকরো করা হয়েছিল, সেটিও এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি৷