পুলিশের দাবি, ২৮ বছর বয়সি শ্রদ্ধাকে ৬ মাস আগে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়৷ তার পর তাঁর নিথর দেহ ৩৫ টুকরোতে কেটে ছড়িয়ে দেওয়া হয় দিল্লির নানা প্রান্তে৷ হত্যাকাণ্ডের কিনারা করে অভিযুক্তকে ৫ দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছে সোমবার৷ একটি ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে আলাপ হয় আফতাব এবং শ্রদ্ধার৷ প্রথমে তারা তিন বছর মুম্বইয়ে লিভ ইন করে৷ তার পর চলে আসে দিল্লিতে৷ পুলিশকে অভিযুক্ত আফতাব জানিয়েছে দিল্লিতে আসার পরই শ্রদ্ধা তাকে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিল৷ এই নিয়ে তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হত৷ গত ১৮ মে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যায়৷ পুলিশের দাবি সেদিন আফতাব শ্বাসরোধ করে হত্যা করে শ্রদ্ধাকে৷ তার পর তাঁর দেহ ৩৫ টি টুকরোতে খণ্ড করে৷ ওই দেহাংশ রাখার জন্য বড় রেফ্রিজারেটর কেনে আফতাব৷ গন্ধ আড়াল করার জন্য ব্যবহার করে ধূপকাঠি৷
advertisement
আরও পড়ুন : জেলে কম্বল গায়ে শুয়ে দিল্লির খুনে প্রেমিক, সামনে এলো সিসিটিভি ফুটেজ
আফতাবের সঙ্গে লিভ ইন করার সিদ্ধান্তে মত ছিল না শ্রদ্ধার বাড়ির লোকদের৷ তাঁরা সামাজিক মাধ্যম থেকে মেয়ের আপডেট পেতেন পরিজনরা৷ কারণ আফতাবের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক মেনে না নেওয়ায় বাড়ির লোকের সঙ্গে শ্রদ্ধা বিশেষ যোগাযোগ রাখতেন না৷ সামাজিক মাধ্যমে অনেক দিন শ্রদ্ধার অনুপস্থিতিতে সন্দেহ হয় তাঁর বাড়ির লোকের৷ এর পরই ক্রমশ প্রকাশ্যে আসে ভয়াবহ এই হত্যাকাণ্ড৷
আরও পড়ুন : নিথর দেহ পুঁতে সেই জমি সিমেন্ট দিয়ে বাঁধিয়ে বসবাস ৪ বছর, যুবকের হত্যাকাণ্ডে ধৃত স্ত্রী ও তাঁর প্রেমিক
তদন্ত শুরু করে পুলিশ জানতে পেরেছে বাড়ির কাছে জঙ্গুলে এলাকায় রোজ একটি করে টুকরো ফেলে আসত আফতাব৷ রাত দুটো বাজলে বেরিয়ে পড়ত সে৷ নিজে পৈশাচিক কীর্তির প্রমাণ লোপ করতে৷