মানিকন্ট্রোলে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিষয়টি নিয়ে ধারাভি উন্নয়ন প্রজেক্টের সিইও এসভিআর শ্রীনিবাস জানিয়েছেন, “আমরা নিলামে তিনটি গোষ্ঠীর দর পেয়েছিলাম। যার মধ্যে আমরা আদানি গোষ্ঠী এবং ডিএলএফ গ্রুপের থেকে যথাক্রমে দুটি আর্থিক বিড পেয়েছিলাম। নিলামে নমন গ্রুপও ছিল। কিন্তু প্রযুক্তিগত ত্রুটিতে তারা ছিটকে যায়। নিলামে আদানি গোষ্ঠীর দর ছিল ৫,০৬৯ কোটি টাকা এবং ডিএলএফ গ্রুপের দর ২,০২৫ কোটি টাকা।" তিনি আরও বলেন, "আমরা এখন রাজ্য সরকারের অনুমোদন নিয়ে এই প্রজেক্ট এগিয়ে নিয়ে যাব।"
advertisement
মহারাষ্ট্র সরকার আগামী ১৭ বছরের মধ্যে প্রকল্পটি শেষ করতে চাইছে। পরবর্তী সাত বছরের মধ্যে সম্পূর্ণ পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শেষ করার আশা রাখছে। ধারাভির এই উন্নয়নমূলক প্রজেক্টে ১০ মিলিয়ন স্কোয়ারের মতো জায়গা আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এই নিলামে ভারতীয় সংস্থাগুলি ছাড়াও, প্রথমে দক্ষিণ কোরিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংস্থাগুলিও বৈঠকে অংশ নিয়েছিল।
আরও পড়ুন, গুজরাত ভোটে সোশ্যাল মিডিয়ায় 'যুদ্ধ' আপ-বিজেপির, অনেক পিছিয়ে কংগ্রেস
তবে ধারাভির উন্নয়ন মূলক প্রজেক্ট নিয়ে আগেও বেশ কয়েকবার নিলাম হয়েছে। কিন্তু সেগুলি কোনওটাই সফল হয়নি। তথ্য অনুযায়ী, মহারাষ্ট্র সরকার শেষ ১৫ বছরে অন্তত ৪টে নিলামের ব্যবস্থা করেছিল। কিন্তু কোনওটাই শেষ পর্যন্ত সফল হয়নি।
আরও পড়ুন, কবে আসছে হাড় কাঁপানো শীত? আবহাওয়ার বড় পূর্বাভাস দিল হাওয়া অফিস
প্রসঙ্গত, দেশের বাণিজ্যনগরী মুম্বইয়ের প্রাণকেন্দ্রে গড়ে ওঠা ধারাভি বিশ্বের অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ বস্তি। প্রায় ৩০০ একর এলাকা জুড়ে এই বস্তি গঠিত। তবে এখন ধারাভি ছোট শিল্পের অন্যতম কেন্দ্রও পরিণত হয়েছে। জুতো, চামড়া, ওষুধ এবং কাপড়ের সঙ্গে জড়িত শিল্প গড়ে উঠেছে ধারাভিতে।