রবিবার ইন্দ্রু নাগ প্যারাগ্লাইডিং সাইট থেকে প্যারাগ্লাইডিং করার সময় পাইলট সুরজের সঙ্গে ট্যান্ডেম ফ্লাইটে ছিলেন সতীশ। তবে উড্ডয়নের কিছুক্ষণের মধ্যেই গ্লাইডারটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি গভীর খাদে পড়ে যায়।
advertisement
ঘটনার ভিডিও ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। এক্স (পূর্বের টুইটার)-এ এক ব্যক্তি লিখেছেন, “ভারতের অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসের উপর এত বিশ্বাস কীভাবে করেন মানুষ? আবারও একটি প্রাণ হারাল ইন্দ্রুনাগ ধর্মশালায়। কয়েক মাস আগেই এক ১৯ বছরের তরুণী এখানে মারা যান। সেই সময় সাইটটি সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বন্ধ ছিল, কিন্তু তবুও প্যারাগ্লাইডিং চলছিল।”
সতীশ দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন। প্রথমে তাঁকে ধর্মশালার জোনাল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং পরে কাংরার টান্ডা মেডিকেল কলেজে স্থানান্তর করা হয়। কিন্তু চিকিৎসার পরও সোমবার তাঁর মৃত্যু হয়। পাইলট সুরজ বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সিটি অ্যাডিশনাল সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ (ASP) হিতেশ লাখনপাল জানিয়েছেন, মৃতের পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে এবং ময়নাতদন্তের পর দেহ হস্তান্তর করা হবে। তিনি আরও বলেন, দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ এবং কোনো গাফিলতি বা নিরাপত্তা বিধি লঙ্ঘন হয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখতে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিষ না কোন্দল! পুকুরে ভেসে উঠল ২০ লক্ষ টাকার দামি মাছ…! কোথায় এমনটা হয়েছে জানুন…
স্থানীয় থানার ইনচার্জকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এবং পর্যটন দপ্তরকে বিষয়টি নিয়ে অভ্যন্তরীণ পর্যালোচনার জন্য চিঠি পাঠানো হয়েছে।
এই ঘটনাটি আবারও ধর্মশালা অঞ্চলে প্যারাগ্লাইডিং নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। বিশেষ করে যখন ১৫ জুলাই থেকে বর্ষা মরসুমে অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টস বন্ধ রাখার সরকারি নির্দেশ কার্যকর হওয়ার কথা ছিল, তার ঠিক আগেই এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের জানুয়ারিতেই গুজরাটের এক পর্যটক খুশি ভাভসারও একই সাইটে ট্যান্ডেম ফ্লাইটের সময় পড়ে গিয়ে প্রাণ হারান। শুধু সেই মাসেই ধর্মশালায় আরও দুটি প্যারাগ্লাইডিং মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
গত ৩০ মাসে হিমাচল প্রদেশে প্যারাগ্লাইডিং-সংক্রান্ত দুর্ঘটনায় ১২ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। প্রশাসনের মতে, এর বেশিরভাগই ঘটেছে যখন অভিজ্ঞতা না থাকা ফ্রি-ফ্লায়াররা ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় গিয়ে স্থানীয় বায়ুপ্রবাহ ও ভৌগোলিক পরিস্থিতির অনভিজ্ঞতার কারণে বিপদের মুখে পড়েন।