India 48 km Artillery Range: অমৃতসর থেকে লাহোর, মাত্র ৮০ সেকেন্ডে ৪৮ কিমি দূরে আঘাত করা সম্ভব! ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগ হচ্ছে দেশের তৈরি ATAGS কামান

Last Updated:
India 48 km Artillery Range: মাত্র ৮০ সেকেন্ডে গোলাবর্ষণ করতে সক্ষম ভারতের দেশীয় কামান ATAGS। এটি ৪৮ কিমি দূরের লক্ষ্যবস্তুতে নিখুঁতভাবে আঘাত হানতে পারে। সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্তির আগে থেকেই এই কামান আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে...
1/8
ভারতের প্রতিরক্ষা সক্ষমতার উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির মধ্যে একটি বড় নজর কাড়ছে দেশের নিজস্বভাবে তৈরি অ্যাডভান্সড টোড আর্টিলারি গান সিস্টেম (ATAGS)। এটি এমন একটি শক্তিশালী কামান যা দীর্ঘ দূরত্বে নিখুঁতভাবে আঘাত হানতে সক্ষম এবং আধুনিক যুদ্ধক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ভারতের প্রতিরক্ষা সক্ষমতার উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির মধ্যে একটি বড় নজর কাড়ছে দেশের নিজস্বভাবে তৈরি অ্যাডভান্সড টোড আর্টিলারি গান সিস্টেম (ATAGS)। এটি এমন একটি শক্তিশালী কামান যা দীর্ঘ দূরত্বে নিখুঁতভাবে আঘাত হানতে সক্ষম এবং আধুনিক যুদ্ধক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
advertisement
2/8
এই কামানটি ডিআরডিও (DRDO) এবং ভারতীয় প্রতিরক্ষা শিল্পের যৌথ উদ্যোগে তৈরি হয়েছে। এটিকে ভবিষ্যতের বোফর্স হিসেবে ধরা হচ্ছে, কারণ এটি ১৫৫ মিমি / ৫২ ক্যালিবারের কামান, যা অত্যন্ত নির্ভুলতা ও উচ্চ পাল্লার জন্য পরিচিত। এটি
এই কামানটি ডিআরডিও (DRDO) এবং ভারতীয় প্রতিরক্ষা শিল্পের যৌথ উদ্যোগে তৈরি হয়েছে। এটিকে ভবিষ্যতের বোফর্স হিসেবে ধরা হচ্ছে, কারণ এটি ১৫৫ মিমি / ৫২ ক্যালিবারের কামান, যা অত্যন্ত নির্ভুলতা ও উচ্চ পাল্লার জন্য পরিচিত। এটি "শুট অ্যান্ড স্কুট" কৌশল অনুসরণ করে—অর্থাৎ গোলাবর্ষণের পর সঙ্গে সঙ্গে স্থান পরিবর্তন করতে সক্ষম।
advertisement
3/8
বিশ্বের অনেক শক্তিধর দেশ যেমন আমেরিকা ও চীনের আধুনিক আর্টিলারি ব্যবস্থা থাকলেও, ভারতের এই কামানটির বিশেষত্ব হল এর ৪৮ কিমি পাল্লা। এই রেঞ্জের মধ্যে এটিই বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত টোড কামান বলে ধরা হচ্ছে।
বিশ্বের অনেক শক্তিধর দেশ যেমন আমেরিকা ও চীনের আধুনিক আর্টিলারি ব্যবস্থা থাকলেও, ভারতের এই কামানটির বিশেষত্ব হল এর ৪৮ কিমি পাল্লা। এই রেঞ্জের মধ্যে এটিই বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত টোড কামান বলে ধরা হচ্ছে।
advertisement
4/8
এই সক্ষমতা থাকায়, এই কামান থেকে পাঞ্জাবের অমৃতসর জেলা থেকে পাকিস্তানের লাহোরে আঘাত হানা সম্ভব, কারণ এই দুটি শহরের দূরত্ব মাত্র ৫০ কিমি। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে এটি ভারতের জন্য কৌশলগত সুবিধা এনে দেবে।
এই সক্ষমতা থাকায়, এই কামান থেকে পাঞ্জাবের অমৃতসর জেলা থেকে পাকিস্তানের লাহোরে আঘাত হানা সম্ভব, কারণ এই দুটি শহরের দূরত্ব মাত্র ৫০ কিমি। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে এটি ভারতের জন্য কৌশলগত সুবিধা এনে দেবে।
advertisement
5/8
ATAGS এর কার্যকারিতা রাজস্থানের মরুভূমি থেকে শুরু করে সিয়াচেনের বরফাবৃত অঞ্চলেও প্রমাণিত হয়েছে। এখন DRDO এই কামানকে আরও শক্তিশালী করতে GPS-গাইডেড ও র‌্যামজেট প্রপেলড শেল তৈরির কাজ করছে, যার মাধ্যমে এর রেঞ্জ ৮০-৯০ কিমি পর্যন্ত বাড়ানো যাবে।
ATAGS এর কার্যকারিতা রাজস্থানের মরুভূমি থেকে শুরু করে সিয়াচেনের বরফাবৃত অঞ্চলেও প্রমাণিত হয়েছে। এখন DRDO এই কামানকে আরও শক্তিশালী করতে GPS-গাইডেড ও র‌্যামজেট প্রপেলড শেল তৈরির কাজ করছে, যার মাধ্যমে এর রেঞ্জ ৮০-৯০ কিমি পর্যন্ত বাড়ানো যাবে।
advertisement
6/8
এই কামানের আরেকটি বড় বৈশিষ্ট্য হল এর দ্রুত মোতায়েন যোগ্যতা। এটি মাত্র ৮০ সেকেন্ডে ফায়ারের জন্য প্রস্তুত হতে পারে এবং বিপদের সময় ৮৫ সেকেন্ডের মধ্যে স্থান পরিবর্তন করতে পারে। এটি একটি ৮x৮ হাই-মোবিলিটি ট্রাকে মাউন্ট করা, যার সর্বোচ্চ গতি ৯০ কিমি/ঘণ্টা।
এই কামানের আরেকটি বড় বৈশিষ্ট্য হল এর দ্রুত মোতায়েন যোগ্যতা। এটি মাত্র ৮০ সেকেন্ডে ফায়ারের জন্য প্রস্তুত হতে পারে এবং বিপদের সময় ৮৫ সেকেন্ডের মধ্যে স্থান পরিবর্তন করতে পারে। এটি একটি ৮x৮ হাই-মোবিলিটি ট্রাকে মাউন্ট করা, যার সর্বোচ্চ গতি ৯০ কিমি/ঘণ্টা।
advertisement
7/8
ATAGS প্রতি ২.৫ মিনিটে ১০টি হাই-এক্সপ্লোসিভ শেল এবং মাত্র ৬০ সেকেন্ডে ৫টি শেল ছুঁড়তে পারে। এর ৮৫% উপাদান দেশীয়ভাবে তৈরি, যা এটিকে আত্মনির্ভর ভারতের প্রতীক করে তোলে।
ATAGS প্রতি ২.৫ মিনিটে ১০টি হাই-এক্সপ্লোসিভ শেল এবং মাত্র ৬০ সেকেন্ডে ৫টি শেল ছুঁড়তে পারে। এর ৮৫% উপাদান দেশীয়ভাবে তৈরি, যা এটিকে আত্মনির্ভর ভারতের প্রতীক করে তোলে।
advertisement
8/8
যেখানে বিদেশি কামানের খরচ প্রায় ৩৫-৪০ কোটি টাকা, সেখানে এই দেশীয় কামানটির মূল্য মাত্র ১৫ কোটি টাকা। ২০১২ সাল থেকে এই কামানটির উন্নয়ন কাজ চলেছে এবং এখন এটি ভারতীয় সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্তির জন্য প্রস্তুত। মার্চ ২০২৫-এ সরকার ৩০৭টি কামান কেনার জন্য ৬,৯০০ কোটি টাকার চুক্তি অনুমোদন করেছে, যার প্রথম ব্যাটেলিয়ন ফেব্রুয়ারি ২০২৭-এর মধ্যে সেনার হাতে পৌঁছে যাবে।
যেখানে বিদেশি কামানের খরচ প্রায় ৩৫-৪০ কোটি টাকা, সেখানে এই দেশীয় কামানটির মূল্য মাত্র ১৫ কোটি টাকা। ২০১২ সাল থেকে এই কামানটির উন্নয়ন কাজ চলেছে এবং এখন এটি ভারতীয় সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্তির জন্য প্রস্তুত। মার্চ ২০২৫-এ সরকার ৩০৭টি কামান কেনার জন্য ৬,৯০০ কোটি টাকার চুক্তি অনুমোদন করেছে, যার প্রথম ব্যাটেলিয়ন ফেব্রুয়ারি ২০২৭-এর মধ্যে সেনার হাতে পৌঁছে যাবে।
advertisement
advertisement
advertisement