দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পর দমকল বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও ততক্ষণে সব কিছু শেষ হয়ে গিয়েছিল। পুলিশ মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করিয়ে তা পরিবারের কাছে পৌঁছে দিয়েছে। দুর্ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর পুরো শহরে শোকের ছায়া নেমে আসে।
আরও পড়ুন: রেলের ইঞ্জিনে এবার ‘AI’-এর চোখ! সন্দেহভাজন কিছু ধরা পড়লেই সতর্ক করবে লোকো পাইলটকে
advertisement
পুলিশ জানিয়েছে, এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ভীণমাল শহরে রবিবার ঘটেছে। এতে কবিতা (৩৫), যিনি স্বামী চেতন কুমারের স্ত্রী, তার ছেলে ধ্রুব ঠাকুর (১০) এবং মেয়ে গৌরী ঠাকুর (৫) নিহত হয়েছে। দুর্ঘটনার সময় মহিলার ও তার দুই সন্তান বাড়ির মধ্যে একা ছিল। মহিলার স্বামী, শ্বশুরমশাই এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা সিরোহি জেলায় আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। এই তিনজন দুপুরের সময় বাড়ির উপরের ঘরে ঘুমােচ্ছিলেন।
এসময়, ঘরে থাকা এসিতে শর্ট সার্কিট হয়ে আগুন লেগে যায়। আগুন এতই ভয়াবহ ছিল যে, মহিলা এবং তার সন্তানরা ওঠার কোনও সুযোগই পায়নি। প্রতিবেশীরা যখন বাড়ি থেকে ধোঁয়ার কুয়াশা বের হতে দেখেন, তখন তারা পুলিশ এবং ফায়ার ব্রিগেডকে খবর দেন। পুলিশ এবং ফায়ার ব্রিগেড ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তারা দেখতে পান বাড়ি ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। এরপর, পুলিশ বাড়ির দরজা ভেঙে ফায়ার ব্রিগেড কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে।
আরও পড়ুন: মালার ব্যবসা নিয়ে প্রবল ঝামেলা, ভাই ফোঁটায় শালির বরকে গুলি করে খুন ব্যক্তির!
শেষ পর্যন্ত, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হলেও, ততক্ষণে তিনজনের মৃত্যু হয়ে গিয়েছিল। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে তাদের পরিবারের সদস্যরা সিরোহি থেকে দৌড়ে ফিরে আসেন। ঘটনাস্থলে লোকজনের ব্যাপক ভিড় জমে যায়। পুলিশ বাড়ির কক্ষে পড়ে থাকা অধপোড়া মৃতদেহগুলো উদ্ধার করে এবং স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে পরবর্তী সময়ে তাদের ময়নাতদন্ত করা হয়। এক পরিবারের তিন সদস্যের মৃতদেহের খবর দ্রুত শহরের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। আত্মীয়স্বজন ও অন্যান্যরা শোকাহত পরিবারকে সান্ত্বনা দিতে সেখানে পৌঁছে যান।