শনিবার উত্তরপ্রদেশে এই ঘটনাটি ঘটে। প্রাথমিক তদন্ত অনুযায়ী, রান্নার স্টোভে রাখা ছোলার হাঁড়ি থেকে নির্গত ধোঁয়া ও বিষাক্ত গ্যাস তাদের শ্বাসরোধের কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। ব্যাপারটা থেকে শিক্ষা না নিলে বিপদে পড়তে পারেন আপনারাও৷
আরও পড়ুন: স্মার্টফোন দিতে পারেনি বাবা, দুঃখে চরম সিদ্ধান্ত ছেলের! তারপরই হল আরও ভয়ঙ্কর ঘটনা…
advertisement
মৃতরা হলেন উপেন্দ্র (২২) এবং শিবম (২৩)। তারা নয়ডার সেক্টর ৭০-এর বসাই গ্রামে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। দু’জনে একত্রে একটি স্টল চালাতেন, যেখানে ‘ছোলা ভাটুরে’ এবং ‘কুলচে’ বিক্রি করতেন বলে জানা গিয়েছে।
কীভাবে ঘটল এই দুর্ঘটনা? প্রাথমিক তদন্ত অনুযায়ী, শুক্রবার রাতে নিজেদের স্টলের জন্য ছোলা রান্না করতে একটি হাঁড়ি চুলায় বসিয়ে তারা ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। রান্নার জন্য স্টোভটি রাতভর চালু অবস্থায় ছিল। বাড়িটির দরজা বন্ধ থাকায় রান্নার সময় নির্গত ধোঁয়া ঘরের ভেতরে জমতে থাকে। এতে ঘরের অক্সিজেনের অভাব ঘটে এবং বিষাক্ত ধোঁয়ার কারণে শ্বাসরোধ হয়ে তাদের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: এ কেমন বিচার! স্কুলের ৮০ জন ছাত্রীর শার্ট খুলতে বাধ্য করল প্রধান শিক্ষক, জানুন ঘটনাটি…
নয়ডা সেন্ট্রাল জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার রাজীব গুপ্ত সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “ঘরের দরজা বন্ধ থাকার কারণে ঘরে অক্সিজেন কমে যায়। এর সঙ্গে রান্নার ধোঁয়ার কারণে কার্বন মনোক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে যায়। এটি একসঙ্গে মিলিত হয়ে বিষাক্ত পরিবেশ তৈরি করে।”
পড়শিরা ধোঁয়া লক্ষ্য করে দরজা ভেঙে দু’জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু সেখানে চিকিৎসকরা তাদের মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ মৃতদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। একটি সংবদ্ধ ঘরে ধোঁয়ার উপস্থিতি শ্বাসকষ্ট ও শ্বাসরোধ ঘটাতে পারে। রান্নার সময় নির্গত কার্বন ডাইঅক্সাইড ও কার্বন মনোক্সাইডের মতো ক্ষতিকারক গ্যাস দীর্ঘ সময় ধরে ঘরে জমে থাকতে পারে, যা প্রাণঘাতী হতে পারে।
কার্বন মনোক্সাইড একটি বিষাক্ত গ্যাস, যার কোনও গন্ধ নেই। এটি গাড়ি বা ট্রাক, চুলা, ওভেন, গ্রিল, জেনারেটরের মতো জ্বালানি পোড়ানোর যন্ত্র থেকে নির্গত হতে পারে এবং বন্ধ ঘরে দ্রুত জমা হয়ে প্রাণঘাতী পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে।
এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘরে ধোঁয়া এবং কার্বন মনোক্সাইড বিষক্রিয়ার ঝুঁকি সম্পর্কে সতর্ক থাকার প্রয়োজনীয়তাকে স্মরণ করিয়ে দেয়।