দেশের অন্যতম এলিট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়। দীর্ঘদিন ধরেই এখানে বাম ও নকশালপন্থী ছাত্র সংগঠনের দাপট। সিপিআই এম এল লিবারেশনের ছাত্র শাখা এআইএসএ বা আইসা-র মজবুত সংগঠন জেএনইউ-তে। ভাল প্রভাব সিপিএমের এসএফআই এবং সিপিআইয়ের এআইএসএফ-এর।
অটলবিহারী বাজপেয়ী তখন প্রধানমন্ত্রী।২০০১-এ অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ বা এবিভিপি-র প্রার্থী ছাত্র সংসদের সভাপতি পদে জিতেছিলেন। কিন্তু, এবিভিপি তার পরেও তেমন রাজনৈতিক জমি কাড়তে পারেনি বামপন্থীদের কাছ থেকে। ১৪ বছরের খরা কাটিয়ে গত বছরের ছাত্র সংসদ ভোটে খাতা খোলে এবিভিপি। যুগ্ম সম্পাদক পদে জয় পান গেরুয়া শিবিেরর প্রার্থী। ছাত্র সংসদের সভাপতি পদে জেতেন এআইএসএফ-এর কানহাইয়া কুমার। বাকি পদ ছিল আইসা-র দখলে।
advertisement
জেএনইউ-তে আধিপত্য বিস্তারে মরিয়া এবিভিপি। সাম্প্রতিক বিতর্কে তারা একাধিক ভিডিও ফুটেজকে হাতিয়ার করেছে। সেখানে দেখে যাচ্ছে, সংসদ হানায় দোষী আফজল গুরুর ফাঁসির বর্ষপূর্তিতে জেএনইউ ক্যাম্পাসে জমায়েত করেছে ছাত্ররা। সেখানে দেশবিরোধী স্লোগান উঠেছে। তবে এই ফুটেজ বিকৃত করা হয়েছে বলে দাবি আম আদমি পার্টির। তারা পুলিশের কাছে তথ্যপ্রমাণও দাখিল করেছে।
এই ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছেন ছাত্র সংসদের সভাপতি কানহাইয়া কুমার। বামপন্থী ছাত্র নেতৃত্বকে দেশদ্রোহী আখ্যা দিয়েছেন বিজেপি নেতারা। জাতীয়বাদের প্রশ্নে তাঁরা সুর চড়াচ্ছেন ক্রমশ। জেএনইউ-কে কেন্দ্র করে দেশপ্রেমী ও দেশদ্রোহীর মধ্যে বিভাজন রেখা টানার চেষ্টা। এই বিতর্কের জেরে কি জেএনইউ-তে রাজনৈতিক লাভ হতে পারে এবিভিপি-র।