বর্তমান সরকারকে আক্রমণ করে অভিষেক বলেছিলেন, ‘‘আমার প্রশ্ন মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমাকে, নিজের রিপোর্ট কার্ড নিয়ে বেরোচ্ছেন না কেন? আমি সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হিসাবে বেরোচ্ছি। মুকুল সাংমা তার আগে রিপোর্ট নিয়ে বেরোবে। ‘উই কার্ড’-এর ইতিমধ্যেই সাড়ে তিন লাখ রেজিস্ট্রেশন হয়ে গিয়েছে। গত দু'সপ্তাহে প্রায় ২ লাখ রেজিস্ট্রেশন সম্পূর্ণ ৷ আমরা এখানে সরকার গঠন করবই। মেঘালয়কে শাসন মেঘালয়ই করবে।’’
advertisement
মেঘালয়ের নির্বাচনের মধ্যেই কি তা হলে লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি সারছে তৃণমূল ? সেই বিষয়টি উস্কে দিয়েই অভিষেক বলেছিলেন, ‘‘উত্তর-পূর্ব ভারতে ২৫টি লোকসভা আসন আছে। এই রাজ্যে দুই আসন আছে মনে রাখবেন। লড়াই শুরু করুন মেঘালয় থেকেই। বিজেপি শুধু ব্যবহার করবে কেন্দ্রীয় এজেন্সি৷ আমরা একমাত্র দল, যাঁরা বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ চালিয়ে যাচ্ছি। আগামী একমাসে এনডিএ সরকারের এখানে পতন হবে ৷ আত্মসম্মান ফিরিয়ে আনুন ৷ মনে রাখুন প্রতি পদে পদে তৃণমূল কংগ্রেস আপনাদের সঙ্গে থাকবে।’’
মেঘালয়ের সোনালি দিন ফেরাতে হবে, বর্তমান সরকারকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে শিলংয়ের মঞ্চ থেকে কড়া কথা শুনিয়েছিলেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ৷
আরও পড়ুন- সরস্বতী পুজোয় আবহাওয়ার ব্যাপক বদল, উধাও হবে শীত? নাকি ফের পারদ-পতন? জানাল হাওয়া অফিস
মেন্দিপাথারের সভা থেকে তিনি বলেছিলেন, ‘‘ভোট ঘোষণার দিন থেকেই এনপিপি ও বিজেপির জোটের শেষের শুরু। মেঘালয়ে সোনার দিন ফেরত আসবে। ইতিমধ্যেই আমাদের থিম সং যথেষ্ট জনপ্রিয় হয়েছে। আমি আগেও বলেছি আবার বলছি এই গারো পাহাড়ে বিজেপি-এনপিপি শূন্য পাবে ৷ এখান থেকে একটাও বিধানসভা আসন পাবে না। আগামী ৫০ দিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আমাদের কাছে। ৪৫ দিনে ভোট শেষ হবে ৷ আমি আপনাদের কাছে আবেদন করছি, এই সময় আপনার আমার সাথে থাকুন। মেঘালয়ে সোনার দিন ফেরাতেই হবে।’’
শিলং ও মেন্দিপাথার উভয়ের মঞ্চ থেকেই বর্তমান সরকারকে একাধিকবার আক্রমণ শানিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তিনি বলেছিলেন, ‘‘শেষ পাঁচ বছরে কী হয়েছে এখানে? স্বাস্থ্য ও যোগাযোগ ব্যবস্থার বেহাল দশা ৷ প্রতিদিন পুলিশ গুলি চালায়। কংগ্রেস এখানে কোনও প্ল্যাটফর্ম নেই ৷ কংগ্রেসকে ভোট দেবেন না ৷ দেখেছেন তো গোয়ায় কী হল?’’