অভিষেক জানিয়েছেন , মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠকে ১ কোটি ৩৬ লক্ষ সন্দেহজনক (লজিক্যাল ডিসক্রিপ্যান্সি)-র আওতায় থাকা ভোটারদের তালিকা প্রকাশের জন্য বৈঠকে দাবি জানিয়েছেন তাঁরা৷ পাশাপাশি, বিএলএ-২ দের শুনানির সময় উপস্থিত থাকতে দিতে হবে বলেও তৃণমূলের পক্ষ থেকে দাবি তোলা হয়৷ অভিষেক বলেন, বিএলএ ২-রা শুনানির সময় থাকতে পারবেন না, এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি জারি করুক কমিশন৷ যদিও সেই প্রস্তাব খারিজ করে দেন মুখ্য কমিশনার৷
advertisement
অভিষেক বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকার এবং নির্বাচন কমিশন বিজ্ঞপ্তি জারি না করে হোয়াটসঅ্যাপে নির্দেশ দিয়ে দেশ এবং রাজ্য চালাতে চাইছে৷ কারণ বিজ্ঞপ্তি জারি করলেই রাজনৈতিক দলগুলি আদালতে সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করবে৷ কেন নির্বাচন কমিশন লজিক্যাল ডিসক্রিপ্যান্সির আওতায় থাকায় ১ কোটি ৩৬ লক্ষ ভোটারের তালিকা কমিশন প্রকাশ করবে না? কেন বিএলএ ২ -দের শুনানি কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হবে না?’
এর পাশাপাশি ষাটোর্ধ্ব প্রবীণ নাগরিক যাঁদের কো মর্বিডিটি অথবা গুরুতর শারীরিক সমস্যা রয়েছে তাঁদের শুনানি কেন্দ্রে ডেকে হয়রান না করারও দাবি জানিয়েছে তৃণমূল৷ পাশাপাশি রাজ্যে যে ৫৮ লক্ষ ভোটারের নাম খসড়া ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে কতজন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী এবং রোহিঙ্গা রয়েছেন, তার তালিকাও প্রকাশের দাবি তাঁরা জ্ঞানেশ কুমারের সামনে তুলেছেন বলে দাবি করেন অভিষেক৷
তৃণমূল শীর্ষ নেতা বলেন, ‘আমরা যদি মিথ্যে কথা বলি, তাহলে আড়াই ঘণ্টা ধরে বৈঠকে কী হয়েছে তার সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করুক নির্বাচন কমিশন৷’
অভিষেক দাবি করেছেন, কমিশন যদি তাঁদের দাবি মতো সন্দেহজনক ভোটারদের তালিকা প্রকাশ না করে, তাহলে চূড়ান্ত ভোটার তালিকাও তৃণমূল মানবে না৷ অভিষেক বলেন, ‘আমাদের তালিকা না দিলে, ১৪ ফেব্রুয়ারির নতুন চূড়ান্ত তালিকা মানব না। আমরা আইনিভাবে যা পদক্ষেপ নেওয়ার নেব৷’
