এর আগে একাধিকবার ত্রিপুরায় এসে সভা করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিভিন্ন আলোচনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখেও উঠে এসেছে ত্রিপুরার কথা ৷ এরই মধ্যে দলের কর্মীদের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মনে করিয়ে দিয়েছেন, ‘‘আমরা একটু অন্যরকম দল। আমাদের ধমকে চমকে কোনও লাভ হবে না।’’ ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বদল থেকে সিবিআই হানা একের পর এক বিষয় মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি। তিনি জানিয়েছেন, ‘২০১৮, ২০১৯, ২০২০, ২০২১ সালে মুখ্যমন্ত্রী বদল হল না। তাহলে ২০২২ সালে মুখ্যমন্ত্রী বদল কেন? কারণ তৃণমূল এখানে এসেছে। ভয় পেয়েছে ওরা। কিন্তু তোমার তো কাপড় ছিঁড়ে গিয়েছে, তাপ্পি দিয়ে কীভাবে চলবে? যতদিন গিয়েছে তত ভীতসন্ত্রস্ত হয়েছে বিজেপি। ২০২২ সালে মুখ্যমন্ত্রী বদলেছে, ২০২৩ সালে সরকারটাই বদলে যাবে।’’
advertisement
অভিষেক বলেছেন, ‘‘বিজেপি শুধু মুখেই বলে, আচ্ছে দিন আসছে। কোথায় আচ্ছে দিন? বিজেপিকে ভোট মানুষ দিয়েছে বলেই রান্নার গ্যাসের দাম হাজার টাকা ছাড়িয়েছে। পেট্রল-ডিজেলের দাম আকাশছোঁয়া। বাংলায় হেরেছে বলে দু’বার পেট্রলের দাম কমিয়েছে বিজেপি।’’
আরও পড়ুন- ত্রিপুরায় মেগা ভোট প্রচার, আজ মমতা-অভিষেকের উপস্থিতিতেই শুভেন্দুর জোড়া সভা-যোগীর রোড শো
অভিষেক মনে করেন ডবল ইঞ্জিন সরকার পুরোপুরি ভাঁওতাবাজি, দু’নম্বরই। ডবল চোরের সরকার বলেও উল্লেখ করেন তিনি। অভিষেক আরও বলেন, ‘‘২০২১ সালের অগাস্ট মাস থেকে তৃণমূল ত্রিপুরায় সংগঠন তৈরি করছে। আমাদের উপর বারবার হামলা হয়েছে। আমার কনভয়ের উপরেও হামলা হয়েছে। আমি আসব শুনলেই ভয় পেয়ে হামলা করে। কালও তৃণমূলের সভায় হামলা হয়েছে। কিন্তু আমরা শেষ রক্তবিন্দু দিয়েও লড়াই করব। আজ এলাম, আবার সামনে আসব।’’ অভিষেক-মমতার আজ, মঙ্গলবারের রোড শো ও সভা ত্রিপুরার রাজনীতিতে দলের কর্মীদের চাঙ্গা করে ফেলবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল।
আবীর ঘোষাল