উত্তর-পূর্ব ভারতের একাধিক রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস যে লড়াই করবে তা আগেই জানিয়ে দিয়েছিল তৃণমূল। এমনকী, খোদ দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথাতেও তা স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল। এবার মেঘালয়ের মতো রাজ্যে সংগঠন শক্তিশালী করতে সেখানে যাচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মেঘালয় রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস এই মুহূর্তে বিরোধী রাজনৈতিক দল। তাই ২০২৩ এর আগে সংগঠন ঢেলে সাজাতে তিনি নামছেন। কিছুদিন আগেই মেঘালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সিনিয়র নেতা মানস ভুঁইয়াকে। অন্যদিকে ত্রিপুরাতেও ফের যেতে পারেন অভিষেক ৷ তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, অতি অল্প সময়ে যে ভাবে ত্রিপুরা পুর ভোট ও গোয়া বিধানসভা আসনে যে শতাংশ ভোট তৃণমূল পেয়েছে তাতে তারা খুশি।
advertisement
আরও পড়ুন-মাত্র ১ শতাংশ মানুষই পারবেন এই ছবির রহস্য উদ্ধার করতে! আপনিও কি আছেন সেই দলে?
আগামী বছর ত্রিপুরা ও মেঘালয় দুটি রাজ্যেই আছে বিধানসভা ভোট। এ ছাড়া অসমের লোকসভা ভোটকে টার্গেট করেছে তৃণমূল কংগ্রেস ৷ তাই সংগঠন শক্তিশালী করতে ফের উত্তর-পূর্ব ভারতে নজর রাখছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী মাসে ত্রিপুরায় দলের পার্টি অফিস উদ্বোধন করবে তৃণমূল। এ ছাড়া দলীয় সূত্রে খবর পূর্ণ কমিটি ঘোষণা হতে পারে ত্রিপুরার জন্যে। অসমের লোকসভা ভোটের আগে বেশ কিছু সংসদীয় এলাকাকে টার্গেট করে এগোচ্ছে তৃণমূল। অসমেও লোকসভা ভোটে লড়াই করতে পারে তৃণমূল।
অসমের দায়িত্ব আগেই দেওয়া হয়েছে সুস্মিতা দেবকে। সুস্মিতা আগে সেখান থেকে লোকসভার সাংসদ ছিলেন। এ ছাড়া একাধিক বিজেপি বিরোধী দলও যোগাযোগ রাখছে বলে সূত্রের খবর। সিএএ-এনআরসি আন্দোলনের সময়েও একাধিকবার অসমের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে তৃণমূল। সাম্প্রতিক সময়ে দেখা গিয়েছে পশ্চিম ভারতের একাধিক রাজ্যে সমীক্ষা চালিয়ে কংগ্রেসের ভূমিকা হতাশাজনক। তাই দেশে নতুন বিকল্প শক্তির ভরকেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে তৃণমূল। তাই চলতি বছর থেকেই ফের বাংলার বাইরে ভিনরাজ্যে ঝাঁপিয়ে পড়তে চলেছে জোড়া ফুল শিবির।