এরপর সংবাদমাধ্যমের সামনে তিনি বলেন, ''সম্ভবত আমাদের প্রশ্নের জবাব মন্ত্রীর কাছে নেই। তাই আসেননি। ১৭ লাখ পরিবারের হকের পয়সা আটকে রাখা হয়েছে। আমরা বলেছি, এবার আমরা ৯ মাস অপেক্ষা করব না। জানিয়ে এসেছি। যে টাকা আটকে রাখা হয়েছে, সেটা বিজেপির টাকা নয়। জনগণের টাকা। রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে আমরা আসব।''
advertisement
আরও পড়ুন: বিরাট খবর! প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে বড় নির্দেশ, লাখো পরীক্ষার্থীর জানা জরুরি
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংযোজন, ''একমাস আগে সময় নেওয়া হবে। সবকিছু মুখোমুখি হবে। ওরা কিছু দুর্নীতির কথা বলছিলেন। আমরা বলেছি, একটাও দুর্নীতি দেখাতে পারবেন না। শুধুমাত্র বাংলার টাকা কেন আটকানো হচ্ছে।'' তৃণমূলের শীর্ষ নেতা বলেন, ''কোথাও দুর্নীতি হলে তদন্ত করুন। ব্যবস্থা নিন। কিন্তু রাজ্যের প্রাপ্য কেন আটকানো হবে। বাংলার ও দেশের মানুষকে বলতে চাই, রাজনৈতিক অভিসন্ধি বুঝতে চেষ্টা করুন। সচিব ১০/১৫ দিন সময় চেয়েছেন। তারপর সবাই একসঙ্গে বসে সমাধান করা হবে। কিন্তু, এরপরও সমাধান না হলে এই কেন্দ্রীয় প্রকল্পের উপভোক্তাদের নিয়ে দিল্লিতে আসব।''
আরও পড়ুন: টমেটো ফল নাকি সবজি? কী ভাবছেন? আসল উত্তর জানলে চোখ কপালে উঠবে নিশ্চিত
যদিও গিরিরাজের মন্ত্রকের সচিবকে অভিষেক বলে আসেন, ''সব রাজ্য থেকে টাকা তুলছেন, পশ্চিমবঙ্গ থেকেও টাকা তুলছেন। সেই টাকায় আমার আপনার বেতন হচ্ছে। আপনারা প্রয়োজনে সিবিআই তদন্তের জন্য ফাইল করুন। দু'বছর ধরে টাকা আটকে রেখেছেন কেন। আপনি অবসর নেওয়ার পর আপনার বেতন আটকে দিলে কেমন হবে?'' প্রসঙ্গত, কেন্দ্রের সরকারের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন অভিষেক। গত সপ্তাহে, কলকাতায় শহিদ মিনারের পাদদেশে সভা করেছিলেন তৃণমূলের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই সভা থেকেই তিনি কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। প্রসঙ্গত, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগে দীর্ঘদিন ধরে সরব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত সপ্তাহেই এই নিয়ে রেড রোডে আম্বেদকর মূর্তির পাদদেশে ধরনায় বসেছিলেন তিনি। পাশাপাশি গত ২৯মার্চ শহিদ মিনারে তৃণমূল ছাত্র-যুবর সমাবেশ থেকেও কেন্দ্রীয় প্রকল্পের বরাদ্দ নিয়ে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দিল্লি অচল করার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তিনি। এবার অবশ্য তেমন কিছু না করলেও হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।