প্রবাসী ভারতীয় ব্যবসায়ী ও কমিউনিটি নেতাদের উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময় অভিষেক বলেন, ‘‘বিদেশের মাটিতে এত ভারতীয়কে একসঙ্গে দেখে দারুণ ভাল লাগে। এটা আমাদের মনে করিয়ে দেয় ভারতের শক্তি, সামর্থ্য ও প্রাচুর্য কতটা বিস্তৃত। এটা প্রমাণ করে যে এই লড়াইয়ে ভারত একা নয়—ভারতের পাশে দাঁড়িয়ে আছে তার প্রবাসী সন্তানরা। প্রবাসী ভারতীয়রা বহন করে ভারতের বহুত্ববাদ, ‘বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য’-র দর্শন এবং প্রতিকূলতার মধ্যে শক্তির উদাহরণ।’’
advertisement
সন্ত্রাসবাদ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে অভিষেক বলেন, ‘‘আজকের দিনে সীমান্ত পার হওয়া সন্ত্রাসবাদ গোটা বিশ্বের চ্যালেঞ্জ। আমাদের সবাইকে—আপনি যদি ছাত্র হন, কিংবা অন্য যে কোনও পেশায় থাকেন—এ বিষয়ে মুখ খুলতে হবে। আমাদের প্রতিবেশী পাকিস্তান দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাসবাদীদের লালন-পালন, আশ্রয়দান এবং নিরাপদে ষড়যন্ত্র করার সুযোগ দিয়েছে। এর পক্ষে যথেষ্ট প্রমাণ বিশ্ববাসীর চোখের সামনে রয়েছে৷’’
তিনি উল্লেখ করেন, ‘‘আমরা বহু দেশে সফর করেছি, এবং যাদের সঙ্গেই দেখা হয়েছে, সকলের অভিমত এক—সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের লড়াইয়ে আমরা ভারতের পাশে আছি। প্রত্যেককে নিজের নিজের অবস্থান থেকে এই ইস্যুকে তুলতে হবে।’’
আরও পড়ুন: ভুয়ো কাস্ট সার্টিফিকেট নেই তো! SSC নিয়োগে কী ভাবে হবে ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন..জানেন?
তিনি বলেন, ‘‘পাকিস্তানের মুখোশ খুলে দিতে হবে। ভারতকে প্রমাণ করার জন্য আর কী দরকার? আজকের দিনে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর শীর্ষ কর্তারা সন্ত্রাসবাদীদের শেষকৃত্যে হাজির থাকছেন—এটাই কি যথেষ্ট নয়? আমাদের প্রতিনিধি দলের গঠনই দেখুন। আমার শাসকদলের সঙ্গে মতভেদ থাকতে পারে, কিন্তু জাতীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে আমি আমার রাজনৈতিক মতবাদকে স্থান দিই না। আমি কাজ করে যাব দেশের স্বার্থেই৷’’ অভিষেক বলেন, ‘‘পাকিস্তান এখন নিজেকেই আগুন লাগিয়ে, নিজেই দমকল বাহিনী সাজছে’’৷ এটাই তাদের দ্বিচারিতা, উল্লেখ করেন অভিষেক।
তাঁর কথায়, ‘‘অন্যদের উপর ভরসা না করে, আমাদেরই দায়িত্ব পাকিস্তানের মুখোশ বিশ্ববাসীর সামনে খুলে দেওয়া। ৯/১১ হোক বা ২৬/১১—প্রায় সব বড় সন্ত্রাসবাদী হামলার সূত্রই পাকিস্তানে গিয়ে মেলে। হাফিজ সঈদ, ওসামা বিন লাদেন, কিংবা জইশ-ই-মহম্মদের মতো জঙ্গি সংগঠন—সব কিছুরই সঙ্গে পাকিস্তানের যোগ রয়েছে। তারা একদিকে শান্তি আলোচনার নাটক করে, অন্যদিকে অস্ত্র চালায়। সন্ত্রাস ও শান্তি আলোচনা একসঙ্গে চলতে পারে না।’’
আরও পড়ুন: সুপারিশ পত্র পাওয়ার ১ ঘণ্টার মধ্যেই করতে হবে এই কাজ, স্বচ্ছতা রক্ষায় বড় সিদ্ধান্ত SSC-র
অভিষেক বলেন, ‘‘গত ৫০ বছর ধরে আমরা পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনায় বসেছি। আমরা কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও গৌতম বুদ্ধের দেশ থেকে এসেছি। আমাদের কাছে যুদ্ধের কথা বলা শেষ পছন্দ। কিন্তু এবার, যদি আমাদের সরকার পাকিস্তানের সঙ্গে কোনও আলোচনায় বসে, আমি সরকারের কাছে এবং সমস্ত ভারতবাসীর কাছে অনুরোধ করব—আমাদের অবস্থান স্পষ্ট হোক: আমরা পাক অধিকৃত কাশ্মীর পুনরুদ্ধার নিয়েই আলোচনা করব, যেখানে ভারতীয়দের উপর সন্ত্রাস হামলার ছক কষা হয়েছে, এবং রক্তপাতের জন্য সন্ত্রাসের পরিকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে।’’