মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠকের পর অভিষেক বলেন, ‘বিহারে কংগ্রেস-আরজেডি, দিল্লিতে আম আদমি পার্টি ধরতেই পারেনি যে আসল ভোট চুরি ইভিএম-এ নয়, ভোটার তালিকা থেকে হচ্ছে৷ নাহলে মহারাষ্ট্র, বিহার, হরিয়ানার মতো রাজ্যে বিজেপি-র স্ট্রাইক রেট ৮৮ শতাংশ হতো না৷ বরং এই রাজ্যগুলিতে বিজেপি হারত৷’
অভিষেক অবশ্য জানিয়েছেন, নিজের অভিজ্ঞতার কথা তিনি অন্যান্য বিরোধী দলগুলির সঙ্গে ভাগ করে নিতে তৈরি৷ তৃণমূল শীর্ষ নেতা বলেন, ‘মহারাষ্ট্রে বিজেপি ছ মাসে ৪০ লক্ষ ভোটারের নাম যোগ করেছে৷ সমমনষ্ক বিরোধী দলেদের বলছি- ভোটার তালিকায় চুরি হচ্ছে। সফটওয়্যার ব্যবহার করে নাম বাদ দেওয়া হচ্ছে। কংগ্রেস যদি এটা আগে ধরতে পারত, তাহলে বিজেপি হারত।’
advertisement
অভিষেক অবশ্য আত্মবিশ্বাসের সঙ্গেই দাবি করেছেন, অন্যান্য রাজ্যে যা হোক না কেন বাংলায় তার পুনরাবৃত্তি হবে না৷ অভিষেক বলেন, ‘বাংলায় ভোটার শতাংশ বাড়ছে না কেন? ওখানে চুরিটা আমরা ধরে ফেলেছি৷ আপনি তালিকা প্রকাশ করছেন না কেন? পরিচ্ছন্ন ভোটার তালিকা যদি লক্ষ্যই হয়, তাহলে সেটা লুকিয়ে তো হয় না?’
এ দিনও মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের সামনে ১ কোটি ৩৬ লক্ষ সন্দেহজনক ভোটারদের তালিকা প্রকাশের দাবি জানানো হয় তৃণমূলের পক্ষ থেকে৷ অভিষেক বলেন, ‘আমাদের তালিকা না দিলে, ১৪ ফেব্রুয়ারির নতুন চূড়ান্ত তালিকা মানব না। আমরা আইনিভাবে যা পদক্ষেপ নেওয়ার নেব৷’
