মাত্র ১০ দিন আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়ার পরই মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান এই পদক্ষেপ নেন। দেশের ইতিহাসে এই নিয়ে মাত্র দ্বিতীয়বার কোনও মুখ্যমন্ত্রী নিজের মন্ত্রিসভার সহকর্মীর বিরুদ্ধে এমন কঠোর পদক্ষেপ নিলেন। এর আগে, আম আদমি পার্টির আহ্বায়ক এবং দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ২০১৫ সালে তাঁর একজন মন্ত্রীকে দুর্নীতির অভিযোগে বরখাস্ত করেছিলেন।
advertisement
আরও পড়ুন- বীভৎস! কীভাবে নিজেদের শেষ করা যায় ইউটিউবে তার ভিডিও দেখতেন আত্মঘাতী মা ও মেয়েরা!
একজন সরকারি কর্মকর্তা দিন দশেক আগে বিজয় সিংলার দুর্নীতির বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয়ে অভিযোগ করেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী ব্যক্তিগতভাবে ওই আধিকারিককে আশ্বস্ত করেন যে তিনি তাঁর পাশে থাকবেন এবং তাঁর কোনও মন্ত্রীকে ভয় পাওয়ার দরকার নেই। তারপর ওই কর্মকর্তার সহায়তায় একটি অপারেশন চালানো হয়েছিল যাতে স্পষ্টভাবেই প্রকাশ পেয়ে যায় যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং তাঁর ঘনিষ্ঠরা এক শতাংশ করে কমিশন দাবি করছেন। ফোনের কল রেকর্ডিং এবং অন্যান্য প্রমাণ সংগ্রহ করার পরে ভগবন্ত মান ব্যবস্থা নেন এবং কর্মকর্তাদের সতর্ক করে আবারও জানান যে কোনও প্রকারের দুর্নীতি সহ্য করা হবে না।
“এক শতাংশও দুর্নীতি সহ্য করা হবে না। জনগণ অনেক আশা নিয়ে আপ সরকারকে ভোট দিয়েছে, আমাদের তা মেনে চলতে হবে। যতদিন ভারতমাতার অরবিন্দ কেজরিওয়ালের মতো ছেলে এবং ভগবন্ত মানের মতো একজন সৈনিক থাকবে, ততদিন দুর্নীতির বিরুদ্ধে মহান যুদ্ধ চলবে,” একটি ভিডিও বার্তায় বলেন ভগবন্ত মান। তিনি আরও জানান, বিজয় সিংলা অন্যায়ের কথা স্বীকার করেছেন। আম আদমি পার্টির মতে, অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দুর্নীতিবিরোধী মডেল মেনেই এমন বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন- ভারতে মাঙ্কিপক্স সতর্কতা: মুম্বই হাসপাতালে বিশেষ ওয়ার্ড, বিমানযাত্রীদের পরীক্ষা!
এই সিদ্ধান্তের জন্য ভগবন্ত মানের প্রশংসা করে অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেন, “আপনাকে নিয়ে গর্বিত ভগবন্ত। আপনার এই কাজ আমার চোখে জল এনেছে। পুরো জাতি আজ AAP-কে নিয়ে গর্বিত বোধ করছে।” AAP সাংসদ রাঘব চাড্ডাও এই সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেছেন।