গত ১১ ডিসেম্বর বছর তেত্রিশের অনুজ শর্মা ওরফে অচিত্য গোবিন্দ দাস পুলিশের কাছে জানায় যে, গত কয়েকদিন ধরে তাঁর জ্যেঠিমাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। অনুজেরই অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁর জ্যেঠিমা সরোজ শর্মার খোঁজ শুরু করে পুলিশ।
আরও পড়ুন, হাইকোর্টে এসে যোগ্য়তা প্রমাণ তৃণমূল নেতার, মামলাকারীকেই জরিমানা করলেন বিচারপতি
advertisement
তদন্ত চলাকালীন জিজ্ঞাসাবাদের সময় অনুজের বয়ানে বেশকিছু অসঙ্গতি ধরা পড়ে। ওঁদের বাড়ির সিসিটিভিু ফুটেজেও অনুজকে স্যুটকেস হাতে বেরতে দেখা যায়। তাছাড়া, অভিযুক্তের এক আত্মীয়ও তাঁকে রান্নাঘরে রক্ত মুছতে দেখেছিল।
আরও পড়ুন, নরেন্দ্রপুরে উদ্ধার বিবস্ত্র, বেহুঁশ তরুণী! গণধর্ষণে অভিযুক্ত হবু স্বামী, দেওর
সবদিক খতিয়ে দেখে গত ১৩ ডিসেম্বর অনুজকে আটক করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে জ্যেঠিমাকে খুনের কথা কবুল করে সে। জানায়, অনেকদিন ধরেই দিল্লি যেতে চাইছিল অনুজ। জ্যেঠিমা কিছুতেই তাতে রাজি হচ্ছিল না। ঘটনার দিনও জ্যেঠিমা সরোজের সঙ্গে তার এ নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। ঝগড়ার মধ্যেই রাগের চোটে জ্যেঠিমার মাথায় হাতুড়ি আঘাত করে ফেলে। তারপরে অপরাধ ঢাকতে পরে মার্বেল কাটার দিয়ে জ্যেঠিমার দেহ ১০ টুকরো টুকরো করে স্যুটকেসে ভরে ফেলে আসে দিল্লি হাইওয়ের বিভিন্ন জায়গায়।
পুলিশ জানিয়েছে, রান্নাঘরে খুন করার পরে জ্যেঠিমার দেহ বাথরুমে নিয়ে যায় অনুজ। সেখানে মার্বেল কাটার দিয়ে দেহ টুকর টুকরো করে। পরে দিল্লি হাইওয়ের বিভিন্ন জায়গায় ফেলে আসে। নিহত সরোজ শর্মার বেশির ভাগল দেহাংশই উদ্ধার করা গিয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।