TRENDING:

৫ মাসে ৪ বার...! হাতের তালুতে 'শেষ চিঠি' ডাক্তার তরুণীর, পুলিশের সঙ্গে নাম রয়েছে সাংসদেরও! 

Last Updated:

Satara Female Doctor Case: মহারাষ্ট্রের সাতারা জেলায় এক মহিলা চিকিৎসকের আত্মহত্যা ঘিরে নয়া মোড়। তালুতে সাব-ইন্সপেক্টরের নাম লিখে যাওয়ার পাশাপাশি, চার পাতার সুইসাইড নোটে উঠে এসেছে এক সাংসদের নামও।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
মহারাষ্ট্রের সাতারা জেলার এক সরকারি হাসপাতালে কর্মরত এক মহিলা চিকিৎসক আত্মহত্যা করেছেন। শুক্রবার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মহিলা চিকিৎসক হোটেল কক্ষে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন। মৃত্যুর আগে তিনি নিজের তালুতে আত্মহত্যার কারণ লিখে যান। সেখানে তিনি এক পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ আনেন।
সাতারা কাণ্ড: চারবার ধর্ষণ, নকল সার্টিফিকেটের চাপ, আর এবার আত্মহত্যার আগে চারপাতার চিঠি — নাম উঠল সাংসদেরও! 
সাতারা কাণ্ড: চারবার ধর্ষণ, নকল সার্টিফিকেটের চাপ, আর এবার আত্মহত্যার আগে চারপাতার চিঠি — নাম উঠল সাংসদেরও! 
advertisement

এখন সেই ঘটনার মোড় ঘুরেছে। জানা গিয়েছে, ওই মহিলা চিকিৎসক শুধু তালুতেই নয়, আত্মহত্যার আগে চার পাতার একটি সুইসাইড নোটও রেখে গিয়েছেন। সেই নোটে রয়েছে এক সাংসদের নামও। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, তাঁকে পুলিশ কর্তারা অভিযুক্তদের নকল ফিটনেস সার্টিফিকেট দিতে বাধ্য করছিল।

ধেয়ে আসছে! হাতে সময় কম… আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় ‘মান্থা’! কবে থেকে বঙ্গে শুরু দুর্যোগ?

advertisement

এই কারণেই ফ্রিজে বরফ জমে; সহজ কৌশল কাজে লাগিয়ে মুহূর্তের মধ্যে বরফ গলিয়ে নিন, দেখে নিন কী করতে হবে!

অনেক অভিযুক্তকে নাকি মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য হাজিরও করা হয়নি, তবু সার্টিফিকেট দিতে বলা হয়েছিল। তিনি তাতে রাজি না হওয়ায় শুরু হয় মানসিক ও পেশাগত হেনস্থা। এক ঘটনায় তিনি লিখেছেন, যখন তিনি সার্টিফিকেট দিতে অস্বীকার করেন, তখন এক সাংসদের দুই ব্যক্তিগত সহকারী হাসপাতালে এসে উপস্থিত হন। পরে তাঁরা সাংসদকে ফোনে সংযোগ করান, আর সাংসদ তাঁকে হুমকি দেন।

advertisement

ওই ২৬ বছরের চিকিৎসক সাতারার ফলতন উপজেলার উপ-জেলা হাসপাতালে মেডিক্যাল অফিসার হিসেবে কাজ করছিলেন। প্রায় ২৩ মাস ধরে চাকরি করছিলেন তিনি, বন্ড পিরিয়ড শেষ হতে বাকি ছিল আর এক মাস। তারপরই তিনি এমডি করার ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু মৃত্যুর আগে নিজের তালুতে তিনি লিখে যান— “সাব-ইন্সপেক্টর গোপাল বাদনে আমাকে চারবার ধর্ষণ করেছে। পাঁচ মাস ধরে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন চালিয়েছে।”

advertisement

চার পাতার সুইসাইড নোটে যন্ত্রণা:

চিঠিতে ওই চিকিৎসক বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করেছেন, কীভাবে পুলিশের কয়েকজন আধিকারিক অভিযুক্তদের মেডিক্যাল পরীক্ষার রিপোর্টে ভুয়ো সার্টিফিকেট দিতে বলেন। তিনি অস্বীকার করতেই শুরু হয় হেনস্থা। এক ঘটনায় তিনি উল্লেখ করেছেন— এক সাংসদের দুই সহকারী হাসপাতালে এসে তাঁকে ফোনে সাংসদের সঙ্গে কথা বলান, আর সাংসদ ইশারায় তাঁকে ভয় দেখান।

advertisement

সাতারা কাণ্ড: চারবার ধর্ষণ, নকল সার্টিফিকেটের চাপ, আর এবার আত্মহত্যার আগে চারপাতার চিঠি — নাম উঠল সাংসদেরও!

মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ:

ঘটনা জানাজানি হতেই মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীস বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নেন। তিনি সাতারার পুলিশ সুপার তুষার দোশির সঙ্গে ফোনে কথা বলেন এবং আত্মহত্যা নোটে উল্লেখিত পুলিশ সাব-ইন্সপেক্টর গোপাল বাদনেকে অবিলম্বে সাসপেন্ড করার নির্দেশ দেন। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত চিকিৎসক বিড জেলার বাসিন্দা ছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে সাতারার ফলতনের একটি হোটেল ঘর থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।

পুলিশের বক্তব্য:

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
কেশর চাষে বিরাট সাফল্য! কার্শিয়াং, কালিম্পংয়ে আশার সুবাস, প্রচুর উপার্জনের আশায় কৃষকরা
আরও দেখুন

পুলিশ জানিয়েছে, ওই চিকিৎসক তাঁর তালুতে লেখা সুইসাইড নোটে উল্লেখ করেছেন যে সাতারার এক পুলিশ সাব-ইন্সপেক্টর তাঁকে গত পাঁচ মাসে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে। আরও একজন ব্যক্তি, পেশায় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার প্রশান্ত বাংকার, তাঁকে মানসিকভাবে হেনস্থা করতেন। এই অভিযোগের ভিত্তিতে গোপাল বাদনে এবং প্রশান্ত বাংকারের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা রুজু করা হয়েছে।

বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
৫ মাসে ৪ বার...! হাতের তালুতে 'শেষ চিঠি' ডাক্তার তরুণীর, পুলিশের সঙ্গে নাম রয়েছে সাংসদেরও! 
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল