মৃতের নাম জগদীশচন্দ্র। বয়স ৩৯ বছর। পানুয়াধোখান গ্রামের দলিত রাজনৈতিক কর্মী ছিলেন তিনি। শুক্রবার একটি গাড়ির ভিতর তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। ভিকিয়াসেন গ্রামের কাছে। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় মোট ২৫টি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। অনুমান করা হচ্ছে, লাঠির মতো অস্ত্র দিয়ে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে। এমনটাই জানালেন সলত সাব-ডিভিশনের তহশিলদার নিশা রানি।
advertisement
তাঁর কথায় জানা গেল, জগদীশচন্দ্রের স্ত্রীর মা, সৎ বাবা, সৎ ভাইকে আটক করা হয়েছে যখন তারা গাড়ি করে দেহ নিয়ে যাচ্ছিল। তার পরেই তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কারাগারের ভিতরে থালায় রোজ ‘পাঁচ তারা রেটিং’-এর সুস্বাদু খাবার, আপ্লুত বন্দিরা
গত ২১ অগাস্ট বিয়ে হয় জগদীশচন্দ্রের। রানি জানালেন, বৃহস্পতিবারই শিলাপানি সেতু থেকে জগদীশচন্দ্রকে তুলে নিয়ে যায় মেয়ের বাড়ির সদস্যরা।
২০২১ সালে পরিবর্তন পার্টির হয়ে চন্দ্র সলত বিধানসভা আসনের উপ-নির্বাচনে লড়ে৷ ফেবরুয়ারি মাসের বিধানসভা নির্বাচনেও তিনি লড়েন, কিন্তু হেরে যান।
আরও পড়ুন: অতিমারিতে বন্ধ থাকা সুবিধা ফিরছে রেলে, ১০৮টি ট্রেনের যাত্রীরা পাবেন বালিশ-কম্বল
উত্তরাখণ্ডের পরিবর্তন পার্টির নেতা পিসি তিওয়ারি জানান, গত ২৭ অগাস্ট দম্পতি তাঁদের জীবনের হুমকির কথা উল্লেখ করে নিরাপত্তা চেয়ে প্রশাসনের কাছে চিঠি লিখেছিলেন। তিয়ারির আক্ষেপ, যদি প্রশাসন পদক্ষেপ করত, তা হলে হয়তো জগদীশের প্রাণ যেত না। একইসঙ্গে এই হত্যাকে 'উত্তরাখণ্ডের লজ্জা' হিসেবে চিহ্নিত করে মৃতের পরিবারের জন্য এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চাইলেন তিনি।