১৯৪১ সালে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু মূল গানের একটি ভিন্ন সংস্করণ গ্রহণ করেন। নেতাজি সংস্কৃতঘেঁষা বাংলা থেকে জাতীয় সঙ্গীত হিন্দিতে অনুবাদ করেছিলেন। আজাদ হিন্দ ফৌজের ক্যাপ্টেন আবিদ আলি গানটি হিন্দি অনুবাদটি লেখেন এবং ক্যাপ্টেন রাম সিং সঙ্গীত রচনা করেন। জন গণ মন সঙ্গীত ইংরেজি সহ ২২ টি জাতীয় ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছিল।
advertisement
আরও পড়ুন- ডিভোর্স ঠেকাতে গিয়ে মৃত্যু! আদালতেই স্ত্রীর গলা কেটে নৃশংস খুন স্বামীর
দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি ডঃ রাজেন্দ্র প্রসাদের একটি ঘোষণার পর ১৯৫০ সালের ২৪ জানুয়ারি, জন গণ মন ভারতের জাতীয় সঙ্গীত হিসাবে গৃহীত হয়েছিল। বাংলা ভাষায় লিখিত জন গণ মন-তে ব্যবহৃত সাধু বাংলা বা তৎসম বাংলায় ব্যাপকভাবে সংস্কৃত ছোঁয়া রয়েছে। তা সত্ত্বেও এতে ব্যবহৃত শব্দ বিভিন্ন ভারতীয় ভাষায় একই অর্থে বহন করে ফলত, মানুষ গানটির সঙ্গে আত্মিক বোধও অনুভব করেন। জাতীয় সঙ্গীতের আনুষ্ঠানিক উপস্থাপনে ৫২ সেকেন্ড সময় লাগে।
আরও পড়ুন- "শুধু তেরঙ্গা লাগালেই আপনি দেশপ্রেমিক হয়ে যাবেন না," বিজেপিকে আক্রমণ উদ্ধবের!
ভারতীয় সংবিধানের অনুচ্ছেদ 51A(a) প্রত্যেক ভারতীয় নাগরিককে ভারতের সম্মান ও শ্রদ্ধা বজায় রাখতে বাধ্য করে। এতে বলা হয়েছে, “প্রত্যেক ভারতীয় নাগরিকের সংবিধানের মূল্যবোধ এবং প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি জাতীয় পতাকা এবং জাতীয় সঙ্গীতকে সম্মান ও শ্রদ্ধায় উন্নত রাখার দায়িত্ব রয়েছে।” ১৯৭১ সালের জাতীয় সম্মান আইনের (৩) ধারায় জাতীয় সঙ্গীতের অসম্মান এবং এর বিধিনিষেধ ভঙ্গ করার জন্য দোষী সাব্যস্ত হওয়া ব্যক্তিদের জন্য কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে।