সাম্প্রতিক অতীতে উপনির্বাচনে জিতে আসা বিধায়কদের শপথ ঘিরে বারবার বিরোধ বাধে রাজভবনের সঙ্গে বিধানসভার। বিধানসভার বক্তব্য ছিল, রাজ্যপাল হয় বিধানসভায় এসে শপথ বাক্য পাঠ করান। নয়তো রাজ্যপাল কাউকে মনোনীত করুন শপথ বাক্য পাঠ করাতে। সায়ন্তিকা বন্দোপাধ্যায় ও রেয়াদ হোসেন সরকারের শপথ নিয়ে বিতর্ক চরমে ওঠে। তার আগে ধূপগুড়ির বিধায়ক রাজভবনে গিয়ে শপথ গ্রহণ করেন। পরবর্তী সময়ে সুপ্তি পান্ডে, কৃষ্ণ কল্যাণী ও মধুপর্ণা ঠাকুরের শপথ নিয়েও তুমুল চর্চা হয়। স্পিকারকে অধিবেশনের মধ্যে শপথ পাঠ করাতে দেখা যায়। যা নিয়েও রাজভবনের তীব্র প্রতিক্রিয়া ছিল।
advertisement
আদৌ রাজভবনের অনুমতি ছাড়া শপথ পাঠ করানো যায় কিনা, সেই প্রশ্ন ওঠে। যদিও বিধানসভা আইন অনুযায়ী তার ব্যাখ্যা দিয়েছিল। এর পর চলতি সময়ে দেখা গেল, রাজভবন অধিবেশন চলাকালীন বিধানসভায় এসে শপথ বাক্য পাঠ করাতে চান। রাজভবনের এই সিদ্ধান্ত জুড়ে আপত্তি দেখছে না বিধানসভা। সোমবার বিধানসভায় আসতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর উপস্থিতিতেই রাজ্যপাল অধিবেশনের মধ্যে শপথ পাঠ করাতে পারেন।
এমতাবস্থায় সেখানে দুই সাংবিধানিক প্রধানের মধ্যে সাক্ষাৎ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাঁদের মধ্যে কথাবার্তা হয় কি না তা দেখার। অনেকে মনে করছেন, বর্তমানে একটু নরম মনোভাব নিয়ে চলছেন রাজ্যপাল। রাজ্যের সঙ্গে সংঘাত এড়ানোর চেষ্টায় রয়েছেন তিনি। রাজ্যপাল নিজেই বিধায়কদের শপথ অনুষ্ঠানে বিধানসভায় যেতে ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন। তবে রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রীকে একই অনুষ্ঠানে দেখা গেলেও রাজ্যের বিরোধী দল অংশ নেবে কি না তা এখনও স্পষ্ট নয়।