জানা গিয়েছে, ধৃতেরা হলেন ডঃ আহমেদ মহিউদিন সইদ, মহম্মদ সুহেল, এবং আজাদ সুলেমান সাইফি। তাঁরা প্রত্যেকেই গুজরাতের আদালাজ টোল প্লাজার কাছে অস্ত্র পাচার করছিলেন। তদন্তকারীরা আরও জানিয়েছেন এই তিনজনই গোটা ভারতবর্ষে বড় ধরনের নাশকতা চালানোর পরিকল্পনা করছিলেন।
আরও পড়ুন: ২০২৬ BRICS সভাপতিত্বে মোদি! বিশ্বমঞ্চে ভারতের ভাবমূর্তি গড়ে তোলা নিয়ে বিরাট পরিকল্পনা
advertisement
গুজরাত এটিএসের ডিআইজি সুনীল জোশী জানিয়েছেন, এই তিনজনের উপর প্রায় এক বছর ধরে নজরদারি চালানো হচ্ছিল। এটিএস বিশ্বস্ত সূত্রে খবর পায় মূলত হায়দরাবাদের বাসিন্দা ডঃ আহমেদ বিভিন্ন জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং তিনি আহমেদাবাদ এসেছেন। এই তথ্য পাওয়ার পরেই আদালাজ টোল প্লাজা থেকে তিন জনকে আটক করা হয়।
ধৃতদের থেকে দু’টি গ্লোক, একটি বেরেটা পিস্তল এবং ৩০টি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়াও, ৪ লিটার ক্যাস্টর তেল যা রাইসিন নামক এক ভয়ঙ্কর বিষ উৎপন্ন করতে ব্যবহৃত হয়।
আরও পড়ুন: মাটির নীচে পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা করছে পাকিস্তান! ট্রাম্পের দাবির পরই মুখ খুললেন রাজনাথ!
চিন থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি প্রাপ্ত ডাক্তার আহমেদ রাইসিন নামে বিষ উৎপন্ন করার পরিকল্পনা ছিল। আহমেদ ছাড়াও, বাকি দুই আটক ব্যক্তি আজাদ সুলেমান এবং মহম্মদ সালিম খান দুজনে উত্তরপ্রদেশের লখিমপুরের এবং শামলি জেলার। তাঁদের তিনজনকে কাশ্মীরেও খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল জানায় এটিএস।
তিনজনের মধ্যে একজনকে ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত রিমান্ডে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। অন্য দুইজনকে আদালতের সামনে শীঘ্রই তোলা হবে। এর মাঝে এটিএস তদন্ত করে দেখছে এর মধ্যে কোনও আন্তর্জাতিক যোগ আছে কিনা।
