আগুন জ্বলছে গোটা মুম্বই জুড়ে ৷ আতর্নাদ, হাহাকার, চিৎকার ৷ মু্ম্বইয়ের আকাশে উড়ছে সেনাবাহিনীর হ্যালিকপ্টার ৷ রাজপথে জঙ্গি দমনে তটস্থ ভারতীয় সেনা, পুলিশ৷ তৎপর গোটা ভারতের নিরাপত্তা ব্যবস্থা৷ তাজ হোটেলের রুমের জানলা দিয়ে তখনও জঙ্গিরা সংঘর্ষ চালিয়ে যাচ্ছে সেনাবাহিনীর সঙ্গে ৷ ২৬/১১ ভোর দেখার আগে ততক্ষণে সন্ত্রাসবাদীদের বোমা বিস্ফোরণে ১৬৪ জন মানুষ নিহত, আহতের সংখ্যা ৩০৮ ৷ তিনদিন ধরে সংঘর্ষে অবিচল সেনাবাহিনী ও জঙ্গিদল৷ বারুদের ধোঁয়ায় অন্ধকারে ছেয়ে গিয়েছে মুম্বইয়া আকাশ৷ তাহলে কি সব শেষ? গোটা বিশ্বের চোখ ভারতের দিকে৷
advertisement
২৬/১১-এর সন্ত্রাসের ছক কষে ছিল লস্কর-ই-তহিবা ও ইসলামিক মিলিট্যান্ট ৷ চারদিন ধরে মুম্বইয়ে চলেছিল হামলা ৷ কড়া টক্করে ধরাও পরে মূল চক্রী কাসব৷ ফাঁসিও হয় তার ৷ কিন্তু তা বলে কি সন্ত্রাসে ইতি হয়নি ৷
সম্প্রতি মুম্বই হামলার মূলচক্রী হাফিজ সইদের মুক্তিতে আরও দগদগে হয়ে উঠেছে নয় বছরের পুরনো ক্ষত ৷ লস্কর এ তইবার প্রধানকে বৃহস্পতিবারই মুক্তি দিয়েছে ইসলামাবাদ । মুম্বই হামলায় হাফিজের ভূমিকা নিয়ে পাকিস্তানের হাতে একাধিক তথ্যপ্রমাণ তুলে দিয়েছে ভারত। কিন্তু, তাতে তেমন কোনও পদক্ষেপ করেনি ইসলামাবাদ। উল্টে ২৬/১১ দুঃস্বপ্নের ঠিক দু’দিন আগে, ২৪ নভেম্বরের রাতেই মুক্তি পেলেন লস্কর প্রতিষ্ঠাতা হাফিজ সঈদ ।
হাল ছাড়তে নারাজ ভারতও ৷ হাফিজের উপর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা জারির জন্য এবার রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের হস্তক্ষেপের দাবি উঠেছে।