বৃহস্পতিবারই এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। মৌলানা সাদের নেতৃত্বে তবলিগি জামাতের জমায়েতে যোগ দেওয়ার জেরেই এই ব্যবস্থা নিল কেন্দ্র। মৌলানা সাদ, তাঁর ছেলে-সহ অনেকের উপরেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নজর রয়েছে। এদের বিরুদ্ধে লকডাউন ভাঙার অভিযোগ রয়েছে। দিল্লিতে তবলিগি জামাতে হেডকোয়ার্টার নিজামুদ্দিন মার্কাজে এক বিশেষ সভায় তাঁরা যোগ দিয়েছিলেন। সেই ধর্মীয় জমায়েত নিয়ে অনেক বিতর্কও সৃষ্টি হয় দেশজুড়ে ৷ করোনা আবহে এভাবে দেশ-বিদেশ থেকে আসা সদস্যদের নিয়েই রাজধানীতে ধর্মীয় সভার আয়োজন করে এখন অনেকেরই চক্ষুশূল এই সংগঠন ৷ এই কারণে তবলিগি জামাতের ২৫৫০ জন বিদেশি সদস্যকে আগামী ১০ বছরের জন্য ভারতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার ৷ এই সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা অনেকেই ভারতের বিভিন্ন মসজিদ ও ধর্মীয় স্থানে বেআইনি ভাবে থাকছিলেন ৷ দেশে যখন প্রথম দফার লকডাউন চলছে, তখনও নিজামুদ্দিন ও আশপাশের এলাকায় প্রায় ২ হাজার ৩০০ জামাত সদস্য ছিলেন বলে সূত্রের খবর ৷
advertisement
ওই সভা থেকে একের পর এক করোনা আক্রান্তের হদিশ মেলে। এরপরই কেন্দ্রীয় সরকারের নজরে চলে আসেন তাঁরা। ব্ল্যাকলিস্টে থাকা সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন চারজন মার্কিন নাগরিক, ন'জন ব্রিটিশ ও ছয় চিনা নাগরিকও।প্রচুর সংখ্যায় তবলিগি জামাত সদস্যের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে ৷ বিদেশ থেকে আসা সদস্যরা প্রত্যেকেই ট্যুরিস্ট ভিসায় ভারতে এসেছিলেন বলে জানা গিয়েছে ৷ ট্যুরিস্ট সেজে ভারতে ঢুকে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে তারা অংশ নিয়েছিলেন। অনেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ধর্মপ্রচারও করেছিলেন বলে অভিযোগ। যা দেশের ভিসা আইনের বিরুদ্ধে।