তিরুঅনন্তপূরমের শিবগঙ্গায় থাকেন ভালাজি ও নন্দিনী। আড়াই বছর আগেই মায়ানের জন্ম হয়েছে। এই খুদের স্মৃতিশক্তি যে অন্যদের থেকে খানিকটা আলাদা এবং তুখোর তা টের পেয়েছিলেন বাবা-মা। ফলে কথা বলতে এখনও ভালো ভালে না পারলেও, স্মৃতিশক্তির জোরে চিনতে পারার ক্ষমতা দারুণ হয়েছে মায়ানের। বয়স অনুযায়ী ভাবলে যা রেকর্ড গড়ার মতোই। ছবি দেখিয়ে বলতে বললেই চট করে নাম বলতে পারে মায়ান। কোনও ঘটনা নিয়ে বেশ কয়েকদিন পরে প্রশ্ন করলেও, সেটা মনে রাখতে পারে সে।
advertisement
আরও পড়ুন: 'জানি শেষটা তোমার পছন্দের হল না', স্বামী হরভজনের 'দুসরা' অধ্যায়ের ইঙ্গিত গীতার!
এই ব্যতিক্রমী ক্ষমতা বুঝতে পেরেই মায়ানের বাবা-মা তাকে ফুল-ফল-নেতাদের নাম শেখাতে শুরু করেছিলেন। একটি অ্যালবামে ২৪৭টি তামিল হরফ, নম্বর, গাড়ির নাম, ইংরেজি মাসের নাম, তামিল মাসের নাম, রাজ্য ও রাজধানীর নাম বলা শিখে গিয়েছে সে। এবং খুবই তাড়াতাড়ি সেগুলি শিখে মনে রাখতে পারছে মায়ান। এই ক্ষমতা প্রদর্শনী করে বিশ্ববাসীর কাছে দেখাতেও চান মায়ানের বাবা-মা। এবং ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস ও কালাম বুক অফ রেকর্ডসে এই প্রতিভার কথা তাঁরা জানিয়েছিলেন। দুই সংস্থার তরফেই মায়ানের আশ্চর্য ক্ষমতার কথা স্বীকার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: উপকারী হলেও প্রেগন্যান্সির সময় এই ফলগুলি একদম খাবেন না!
এখনও পর্যন্ত এই সব কিছু বলার ও মনে রাখার রেকর্ড ছিল ৪ বছরের এক বালকের কাছে। এবার মায়ান চলে এল সেই জায়গায়। ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস ও কালাম বুক অফ রেকর্ডসের তরফে মায়ানকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার মা নন্দিনী। ভবিষ্যতে বড় মানুষ করে তোলাই তাঁদের উদ্দেশ্য বলে জানান মায়ানের বাবা-মা।